সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনি গণসংযোগে দেখা মিলছে না মেয়র ইমরুল হক কে”বেইমান উপাধি দিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্বাচনি মাঠে নৌকার পক্ষে দিনরাত সমানতালে উঠান বৈঠক, গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।অথচ নির্বাচনি মাঠে নেই সাবেক তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতিক নিয়ে জয়ী হওয়া বর্তমান মেয়র ইমরুল হক।গত ২০২০ ইং সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তানোর পৌর নির্বাচনে ইমরুল হক তথা নৌকা প্রতিকের জয়ের লক্ষে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী রা নির্বাচনি মাঠে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন।মূলত রাজশাহী-১ আসনের বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশনায় গত ২০২০ সালে পৌর নির্বাচনের মাঠে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাসহ আ”লীগ নেতাকর্মী রা।বর্তমান পৌর আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সুজন নিজেই পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতিক চেয়েছিলেন এবং সেই সময় তার পৌর এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তিনি যদি নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী হয়ে ভোট করতেন জয় নিশ্চিত ছিল তার। তারপরও তিনি রাজনীতির স্বার্থে ও এমপির নির্দেশনায় নৌকা তথা ইমরুলের পক্ষেই কাজ করেছিলেন।কথা হলো যে দল থেকে নৌকা প্রতিকসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সার্বিক সহযোগিতায় মেয়র হয়েছেন ইমরুল হক। সেই নৌকা প্রতিক তথা ফারুক চৌধুরীর সাথে বেইমানি করছেন বর্তমান তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক।এবিষয়ে তানোরের স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানাযায়,শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয় উপজেলা পরিষদ,পৌরসভা,ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতিকের পরাজয় ঘটাতে তানোরের কিছু আ”লীগ তৃণমূল নেতা পরিচয় দানকারী নেতারা নির্বাচনি মাঠে কাজ করেন এবং করে যাচ্ছেন।বর্তমান তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের বিষয়ে স্হানীয় নেতারা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা নৌকার পক্ষে তিনি যদি কাজ না করেন তাহলে তিনি কিসের আ”লীগ তিনি সরাসরি বেঈমানের খাতায় নাম লিখালেন।এবিষয়ে বর্তমান তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এনএসআই, ডিজেফাইসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপ আছে আমাকে বিএনএফ সংগঠনের নোঙ্গর প্রতিকের ভোট করতে হবে। তবে দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কার পক্ষে থাকি।
মন্তব্য