সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি>>> রাজশাহীর তানোরে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে চিরকুট লিখে শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে গৃহবধূ মুক্তা আক্তার ওরফে ময়না (২৮)।গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে তানোর ফায়ার সার্ভিস মোড়ের একটি ভাড়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে।এদিকে ঘটনার পর পরই নিহতের স্বামী-শশুর গা-ঢাকা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।অন্যদিকে এঘটনায় একইদিন রাতে নিহতের বোন মমতাজ বেগম বাদি নিহতের স্বামী আওয়ামী মতাদর্শী রবিউল ইসলামসহ ৫ জনকে আসামি করে তানোর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। এদিন মমতাজ বেগম মামলা করে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি এর সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার চান।একই সঙ্গে আসামিদের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি করেন। কিন্তু আসামি গ্রেফতার তো পরের কথা কদিন না পেরুতেই বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে থানায় বসে ঘটনার মিমাংসা করা হয়। অথচ হত্যা বা আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা আপোষযোগ্য অপরাধ নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহতের এক স্বজন বলেন, তারা ন্যায় বিচার চেয়েছিলেন, কিন্তু রাজনৈতিক চাপে আপোষ করতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষ ময়না আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার অধিকতর তদন্ত করে রবিউল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। যাতে যা দেখে আগামিতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান মিজান বলেন, না দেখে এবিষয়ে কিছু বলা যাবে না,তিনি অফিসে এসে সরাসরি কথা বলতে বলেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে রবিউল ইসলাম বলেন,কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন হয়নি।তিনি বলেন, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গ্রামে বসে এবং থানা ও আদালতের মাধ্যমে আপোষ করা হয়েছে। তবে রবিউল ইসলামের পুত্র বলেন, থানায় ওসি স্যারের উপস্থিতিতে আপোষ করা হয়েছে।
মন্তব্য