আবদুর রাজ্জাক।। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে।টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি সংবাদে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ২ বিজিবির অধীনস্থ টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদক পাচারের উদ্দেশ্যে ০২ জন দুষ্কৃতকারী জেলের ছদ্মবেশে মায়ানমার হতে আগত একটি নৌকা হতে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহের জন্য সুকৌশলে ছোট ডিঙ্গি নৌকা যোগে নাফ সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করবে। আরো তথ্য পাওয়া যায় যে, তারা মাদক সংগ্রহ শেষে নদী পথে মির্জাজোড়া নামক এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেরত আসবে। এমন গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে অধিনায়ক ২ বিজিবি, নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি তার নেতৃত্বে টেকনাফ বিওপির একটি অভিযানদলের সহযোগিতায় ব্যাটালিয়ন সদর হতে অপর একটি বিশেষ দলকে মাদক পারাপারের সম্ভাব্য এলাকায় ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরবর্তীতে, আনুমানিক ১০০০ ঘটিকায় ০২ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্ত দিয়ে একটি ছোট ডিঙ্গি নৌকায় চুপিসারে মির্জাজোড়া নামক এলাকার দিকে অগ্রসর হতে দেখলে বিজিবি সদস্যরা অতর্কিতে অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করতে ধাওয়া করে। এ সময়, বিজিবির গতিবিধি আঁচ করতে পেরে মাদক পাচারকারীরা দ্রুত জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত কেওড়া জঙ্গলের ভিতরে তাদের নৌকাটি ডুবিয়ে দিয়ে পানিতে ঝাপ দেয় এবং সাঁতার কেটে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। পরে উক্ত এলাকাকে ঘিরে রেখে মাদক ও পলায়নরত অপরাধীদেরকে ধরতে বিজিবির অভিযান দলটি দীর্ঘ সময় তল্লাশী চালায়। অবশেষে, কেওড়া জঙ্গলের ভিতরে অভিনব পন্থায় পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় দুটি ব্যাগের ভিতরে বিশেষভাবে মোড়কজাত ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা সম্ভব হলেও মাদক বহনকারী ব্যক্তিদের আটক করা সম্ভব হয়নি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট জমার জন্য প্রযোজ্য সকল প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তাঞ্চলে সকল ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখে কার্যকর অভিযান অব্যাহত রাখবে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির এই দৃঢ় অবস্থান ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।
মন্তব্য