নিউজ ডেক্স >>> কক্সবাজার টেকনাফ থানা পুলিশের অভিযানে ১৫ জন অপহরণকৃত ভিকটিম উদ্ধার-সহ ০২ জন আসামী গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১.৩০ টার সময় টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মধ্যম কচ্চপিয়া এলাকায় এই অভিজান পরিচালনা করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ হারুন (২৫),নুর মোহাম্মদ (১৯)কক্সবাজা টেকনাফ উপজেলার বাহার ছড়া ইউনিয়ন কচ্ছপিয়া এলাকার।নুরুল কবির’র পুত্র।কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাহারছড়া ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে।এ সময় উদ্ধারকৃত আলামতের বিবরণ-আমরা পাইনি। উদ্ধারকৃত ভিকটিম- পুরুষ-১৫ (বাঙ্গালী-০৫ জন এবং রোহিঙ্গা-১০),তার মধ্যে ছেলে শিশু-০৬ জন।ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ- টেকনাফ থানার অফিসার ফোর্স থানা এলাকায় নিয়মিত অভিযান ডিউটি করাকালে ২৪ জানুয়ারি সকাল ১১ টা ৩০ ঘটিকার সময় প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজকে বিকেল তিনটার দিকে,টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মধ্যম কচ্চপিয়া নুরুল ইসলাম মেম্বারের বসতবাড়ীর পিছনে গহীন পাহাড়ের চুড়ায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ০২ জন আসামীকে ধৃত করেন।অপরাপর আসামীগণ গহীন পাহাড়ে পালাইয়া যায়। পরবর্তীতে টেকনাফ থানা পুলিশের আভিযানিক দল অপহরণের শিকার হওয়া ১৫ জন পুরুষ (বাঙ্গালী-০৫ জন এবং রোহিঙ্গা-১০),তার মধ্যে ছেলে শিশু-০৬ জনকে উদ্ধার পূর্বক নিরাপদ হেফাজতে নেন।ভিকটিমগণ উখিয়া-টেকনাফ থানাধীন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্ধা এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা বলিয়া জানায়।আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে উল্লেখিত ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখাইয়া ১৬/১৭ দিন যাবৎ ধাপে ধাপে বর্ণিত ভিকটিমদের ঘটনাস্থলে আনিয়া মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জোরপূর্বক গহীন পাহাড়ের চুড়ায় আটক রাখে।পলাতক অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশী ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরাণার্থীদের নিয়ে অপহরণ করিয়া মুক্তিপণ আদায়ের অপরাধ সংঘটিত করিয়া আসিতেছে।গৃহীত ব্যবস্থাঃ এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রহিয়াছে।
দাখিলকারী
মন্তব্য