মিজানুর রহমান নিজস্ব প্রতিবেদক
কুড়িগ্রামে শিশু চম্পা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিন্টু বসুনিয়া ও স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাত ২টার দিকে গাজীপুরের বড়বাড়ি জয় বাংলা মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দম্পতির বাড়ি উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে উলিপুরের দলদলিয়া ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামে আশরাফ ডাক্তারের পুকুরে মিন্টু বসুনিয়া ও তার বড় ভাই মো. চাঁদ মিয়াসহ কয়েকজন কাজে যান। তখন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বজরুল এর সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়, পরে মারামারি। এতে বজরুল গুরুত্ব অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বজরুল মারা গেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিন্টু বসুনিয়া ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম আপন ভাতিজি চম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং বাড়ির পাশে বাঁশ বাগানে মরদেহ ফেলে দেন। আসামি মিন্টু নিজেই বাঁশ বাগান থেকে চম্পার মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় বজরুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এর পর উলিপুর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির উল ইসলাম চৌধুরী তদন্তের দায়িত্ব পান। তদন্তের একপর্যায়ে বাদীর আপন ভাই মিন্টুকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ভাতিজিকে হত্যার স্বীকার করেন। তখন মিন্টু ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপন করেন তারা। ১১ বছর পর বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।কুড়িগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমীন বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর ও হৃদয় বিদারক ঘটনা। আসামী প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছে। অপরাধী যতই চতুরতা অবলম্বন করুক না কেনো একদিন না একদিন তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে, যার প্রমান সরূপ ২০১৩ সালের শিশু হত্যা মামলার মূলহোতা দম্পতিকে ১১ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেফতার করলো উলিপুর থানা পুলিশ যা সম্ভব হয়েছে সুষ্ঠু পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে। নিরাপদ কুড়িগ্রামের লক্ষ্যে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যহত থাকবে আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করি।











মন্তব্য