আনোয়ার হোসেন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি >>> নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে গণ-শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস) এর আয়োজনে ও ডেমক্রেসিওয়াচ কর্তৃক বাস্তবায়িত জেন্ডার সমতা অর্জন ও বৈষম্য নিরসনে নাগরিক সম্পৃক্তা (ফেসিং) প্রকল্পের আওতায় কালিকাপুর স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ গণ-শুনানিতে সেবাগ্রহীতাদের মতামত ও অভিযোগ গ্রহণ করা হয়।।পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সায়েম (লিটন) এর সভাপতিত্বে, এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহবায়ক রেজাউল আলম স্বপন, কালিকাপুর স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ রেদওয়ানুর রহমান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এসএসিএমও হাবিবা বিনতে ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ কবির, জেলা প্রজেক্ট কো-অডিনেটর ও ডেমক্রেসিওয়াচ এর আব্দুল কুদ্দুস সরকার, ইউপি সদস্য প্রভাশ চন্দ্র রায়,শ্যামলী রানী, সংরক্ষিত মহিলা সদস মজিবুর রহমানসহ অন্যান্য ইউপি সদস্য ও নাগরিক প্লাটফর্ম সদস্য প্রমুখ। এসময় ফেসিং প্রকল্পের অধীনে নাগরিকদের অংশগ্রহণে স্টাডি সার্কেল, আউটরিচ মিটিং ও স্কোর কার্ডের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারী সেবার মান মুল্যায়ন প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পুটিমারী ইউনিয়নের সমস্যা, সম্ভাবনা ও সমাধানে করনীয় বিষয়ের উপর কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন, ফিন্ড কো-অডিনেটর (ইউএসএ) আব্দুর রউফ। সেবার মান তুলে ধরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের এসএসিএমও হাবিবা বিনতে ইসলাম বলেন দীর্ঘ ১বছর ধরে ঔষধের সরবরাহ সীমিত হয়ে গেছে। জনবল নেই। তবে নিয়মিত চেকাপ ও কিশোরীদের পরামর্শ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ঔষধ সরবরাহ বাড়াতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আর্কষনের জন্য চেয়ারম্যানের প্রতি আহবান জানান। তিনি। পাশাপাশি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ কবির বলেন, চলতি মৌসুমে সারের সরবরাহ কম থাকায় কৃষকরা সঠিক মাত্রায় সার পাচ্ছে না। এখানে আগাম আলু চাষের কারনে সারের চাহিদা বেশী। যা বরাদ্দ আসার দুই ঘন্টার মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কৃষকের সারের চাহিদা মেটাতে সারের বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। আমরা চাহিদা দিচ্ছি। সারের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে। এছাড়াও গণশুনানিতে সেবা প্রদানকারী সরকারী, বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের গুনগত সেবার মান উন্নয়নে এগিয়ে আশার আহবান জানানো হয়। এসময় আমন্ত্রিত সরকারী, বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ সেবার মান উন্নয়নের জন্য একমত পোষন করেন।জানা গেছে, এই গণশুনানির মূল লক্ষ্য হলো জেন্ডার সমতা অর্জন ও বৈষম্য নিরসনে নাগরিক সম্পৃক্ততা- ফেসিং নাগরিকতাঃ যা বিভিন্ন সরকারি-বে-সরকারি অফিসের সেবাগুলোকে সমন্বিত করা এবং নাগরিকদের জন্য সহজলভ্য ও হয়রানি-মুক্ত করা।
মন্তব্য