আবদুর রাজ্জাক, কক্সবাজার।। অস্ত্র প্রদর্শন করে আলোচনায় আসা মহেশখালী কালারমারছড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী অস্ত্র,ডাকাতি,হত্যাসহ ১০টি মামলার পলাতক আসামি ডাকাত মোহাম্মদ তারেককে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনার উত্তর-পশ্চিমে ষাইট্টা ঘোনা নামক চিংড়ি ঘেরের একটি ঝুপড়ি ঘর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক, দু’টি এলজি বন্দুক , তিন রাউন্ড কার্তুজ ও দুই রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অপর দু সহযোগী হলেন মোহাম্মদ ফারুক ও সালাহউদ্দিন ।মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মহেশখালী ওসি মঞ্জুরুল হক জানান, কালারমারছড়ার আলোচিত দুই সন্ত্রাসী আনছার ও তারেককে গ্রেপ্তার করতে দীর্ঘদিন নানা কৌশলে অভিযান চালিয়েছে মহেশখালী থানা পুলিশ। অস্ত্র প্রদর্শনকারী শীর্ষ সন্ত্রাসী তারেককে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। শেষ মেশ তাকেও আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হই আমরা।তিনি আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর থেকে কালারমারছড়া এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল স্থানীয় রসুর ছেলে মামুন, উকিল আহমেদ, নজির আহমেদ ও তারেক। তাদের সঙ্গে যোগ দেন আনছার ও বেশ কয়েকজন ডাকাত সর্দার এবং সন্ত্রাসী। উল্লিখিত পাঁচজনের ৪ জনই এখন আইনের আওতায় এসেছে। ক্রাইমজোন খ্যাত কালারমারছড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শিথিল রাখতে পুলিশ ক্যাম্প (বিট পুলিশ) স্থাপন করেছি। সেখানে অপরাধ কর্মকাণ্ড রুখতে দিনরাত এক করে কাজ করছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকমত শীর্ষ সন্ত্রাসী তারেকের বিরুদ্ধে চারটি অস্ত্র মামলা ও একটি হত্যাসহ মোট ১০টি মামলা রয়েছে।এর আগে তারেকের ভাই ডাকাত সর্দার উকিল আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৫ মে কালারমারছড়ার ত্রাস ও সন্ত্রাসী তারেকের অপর ভাই মামুন শরীফ প্রাণ হারান দুর্বৃত্তের গুলিতে। মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলে মাথা চড়া দিয়ে উঠে রসুর অপর ছেলেরা। ছামিরা ঘোনার কালুর বাঁশডোয়া নামক স্থানে নিয়মিত ডাকাতি, ছিনতাই করতো তারা। এছাড়াও ডাকাতি ও চুরি ছিল তাদের প্রধান পেশা। রসুর ছেলেদের অত্যাচারে কালারমারছড়ার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে পুলিশ তৎপর হয় সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে।মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। তারেকের অপর দুই ভাইসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।











মন্তব্য