কলমে:প্রিয়াংকা নিয়োগী,কোচবিহার,ভারত >>>
জন্মলগ্ন থেকেই ভয়ের আবেশ গায়ে মাখে কন্যা সন্তান,
এইবুঝি কোনো দুষ্টু লোকের শরীরের খোরাক হতে পারে এই কুট্টি মেয়েটা।
ক্ষুদে মেয়েটা জানেইনা বাস্তবের অনেক কিছু,
শুধু জানে নারীদের জীবনটা একটু অন্য পিছু।
স্কুলে যাওয়া মেয়েটার বাবার ভয় পরিবারের ভয় সমাজের ভয়,
বিদ্যালয়ে দাড়োয়ান কাকুর ভয়,
কোচের ভয়,
রাস্তায় কুকুর বিড়াল কামরে দেওয়ার সাথে পুরুষ মানুষের কামর হ্যাচরানোর ভয়।
টোনটিং ও ইভটিজিংয়ের সুরের ভয়,
গাড়ির ভীড়ে কুনুইয়ের গুতো খাওয়ার ভয়,
মেলার ভীড়ে পথের ভীড়ে হাজার সাবধানতার পরেও পেছন থেকে যাচিত হাতের ধাক্কার ভয়।
গ্রামের একলা পথে চলা মেয়েটির সাপের থেকেও
ঐ লো লো করা পুরুষের ভয়।
রাত্রিতে ভুত জুজুর নয়, নারীর শরীরকে মজলিশ ভাবা ছোকরার ভয়,
ভালোবাসার মানুষটির ঠোটে ঠোট স্পর্শ হওয়ার পর ছেড়ে যাওয়ার ভয়।
বিয়ের পর সংসারের ভয়,
শ্বশুর বাড়ির ভয়।
শাশুড়ি ভয় ছেলের বৌকে নিয়ে,
এইবুঝি কেড়ে নিলো ছেলেকে।
শুধুই থাকে অপমান সহ্য করার সাহস।
অফিসে বসের ভয়,
প্রেম প্রত্যাখানে এসিডের ভয়।
কোনো ক্ষোভে ধষর্ণ হওয়ার ভয়,
নারীদের প্রতি ও আক্রমণের সবোর্চ্চ শাস্তি ধষর্ণ,
শত্রুতায় দুঃশ্চরিত্র ও চরিত্রহীন সম্বোর্ধনা পাওয়ার ভয়,
পুড়িয়ে মেরে ফেলার ভয়।
একটু পোশাক এদিক ওদিক হলে কারো মতে,
কথা ও ব্যাঙ্গাত্মক আক্রমণের ভয়।
তবুও চলতে হয় জীবন কাটাতে হয়,
ভয়কে মনের খামে রেখে,
পুরোটা জীবন পার করতে হয়।











মন্তব্য