১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড: ১৭ আনসার সদস্য আহত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাুষিত কোলাগ্রামের রাস্তার বেহাল দশা অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের দাবী এলাকাবাসীর। লোহাগাড়ায় বাসের ধাক্কায় দুই আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছি, ভোগবিলাসের জন্য নয়- শাহজাহান চৌধুরী  শোক_সংবাদঃ নির্যাতিত মটর শ্রমিক একতা ঐক্য সমগ্র বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা কমিটির শুভ উদ্বোধন আর্থিক ঘাটতি বাড়ছে অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিপাকে বন্দি দেশের অর্থনীতি বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে খেলাধুলাকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে— শামা ওবায়েদ তাহিরপুরের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মঠে ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুল তানোরে নতুন এসিল্যান্ড শিব শংকর বসাকের যোগদান
  • প্রচ্ছদ
  • দেশজুড়ে >> কক্সবাজার >> চট্টগ্রাম
  • কক্সবাজার কারাগারে ‘মধুমাস’ উদযাপন, মৌসুমি ফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত বন্দিরা
  • কক্সবাজার কারাগারে ‘মধুমাস’ উদযাপন, মৌসুমি ফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত বন্দিরা

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    আবদুর রাজ্জাক, কক্সবাজার :- বন্দিদের মানসিক প্রশান্তি ও মৌসুমি আনন্দে সামিল করতে ব্যতিক্রমধর্মী এক মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে কক্সবাজার জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে কারা প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় ‘মধুমাস’ উদযাপন। এই আয়োজনে বন্দিদের মাঝে মৌসুমি ফল — রসাল আম ও সুস্বাদু কাঁঠাল — বিতরণ করা হয়। এদিন ২,৪৮৪ জন বন্দির মাঝে বিতরণ করা হয় প্রায় ১,০০০ কেজি আম ও ১০০টি কাঁঠাল। তাদের সঙ্গে ছিলেন ১৪০ জন কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারী। আয়োজনটি একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহের একটি প্রয়াস, তেমনি ছিল মানসিক প্রশান্তিরও উৎস।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার জাবেদ মেহেদী, জেলার আবু মুছা এবং ডেপুটি জেলার নোবেল দেব। তারা বন্দিদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন এবং তাঁদের খোঁজখবর নেন।

    কারা কর্তৃপক্ষ জানায়,“বন্দিদের মানবিক মর্যাদা ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনায় নিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি কেবল একটি উৎসব নয়, বরং তাদের মাঝে জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির প্রচেষ্টা। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”এই ব্যতিক্রমী আয়োজনটি বন্দিদের মাঝে ভিন্নরকম উচ্ছ্বাস তৈরি করে। অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন পর এমন আনন্দ উপভোগ করতে পেরে তারা কৃতজ্ঞ। সংশ্লিষ্টরা ও সমাজের সচেতন মহল কক্সবাজার কারাগার কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে,“একটি ছোট্ট মানবিক আয়োজনও একজন মানুষকে বদলে দিতে পারে। কক্সবাজার কারাগারের এই উদ্যোগ হোক দেশের অন্যান্য কারাগারের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ।

    ”মানবিকতা আর সম্মানের ছোঁয়ায় বদলে যাক সংশোধনাগার — এই হোক নতুন শ্লোগান। বন্দিরাও মানুষ — তাদেরও আছে হাসার, ভালোবাসার, বাঁচার অধিকার।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page