আবদুর রাজ্জাক।।
টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না এমন চিত্র দেখা গেছে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে।
বুধবার (০২ আগষ্ট) সকাল ৯:৩০ মিঃ সময়ে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে।কম্পিউটার সহকারী সাদ্দাম হোসেন ও নিরাপত্তা কর্মীরা ছাড়া পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের আবেদনপত্রের ফাইল নড়ে না। তাদের সাথে রয়েছে পাসপোর্ট কর্মচারি সহ ১০ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র।কম্পিউটার সহকারী সাদ্দাম হোসেন ও দালালদের মধ্যে রয়েছে সখ্য। দালাল চক্র কন্ট্রাকে পাসপোর্ট নিয়ে ফাইলের উপর একটি সংকেত চিহ্ন বসিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই সংকেত চিহ্ন দেখেই ফাইল জমা নিয়ে নেন কম্পিউটার সহকারী সাদ্দাম হোসেন। আর যারা সরাসরি পাসপোর্ট আবেদন ফাইল জমা দিতে যান তাদের পাসপোর্ট আটকে দেওয়ার হুমকি ধমকি ও দেন সাদ্দাম হোসেন।
পাসপোর্ট করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান, মঙ্গলবার নতুন পাসপোর্ট আবেদন ফরম নিয়ে জমা দিতে যান ১০৩ নং কক্ষে তার ফাইলে সব কাগজপত্র ওকে ছিল। কিন্তু কোন মাধ্যম ছাড়া পাসপোর্ট করতে যাওয়া আমার ফাইলটি তিন দিন ধরে আটকে রেকে ফেরত দেওয়া হয়। অবশেষে চতুর্থ দিন গেলে সাদ্দাম ধমক দিয়ে বললো ফাইলটি আর গ্রহণ করা হবে না। নানা অজুহাত দেখি সব কাগজপত্র মূল কপি আনতে হবে বলে তাড়িয়ে দেয়। পর সেখানের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে অবশেষে আবেদন ফাইলটি জমা নেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নতুন পাসপোর্টের আবেদন দালাল চক্র মাধ্যমে না গেলে নানা অজুহাতে জমা নেন না কম্পিউটার সহকারী সাদ্দাম হোসেন। আর দালাল মধ্যমে দিলে গুনতে হয় অতিরিক্ত ৫—১০ হাজার টাকা যার একটি অংশ পৌঁছে যায় সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের মাধ্যমে অফিস কর্মকর্তাদের হাতে। আর পুরনো দালালের মধ্যমে দিলে গুনতে হয় অতিরিক্ত ৫—১০ হাজার টাকা যার একটি অংশ পৌঁছে যায় সংঘবদ্ধ দালাল চক্র মাধ্যমে অফিস কর্মকর্তাদের হাতে। আর পুরনো পাসপোর্ট রিনিউ করতে লাগে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এদিকে পরিচয় গোপন রেখে সাইদ নামে এক দালালের সঙ্গে একটি নতুন পাসপোর্ট করে দেওয়া নিয়ে কথা হয়।
তিনি জানান, সরকারি নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার পর তাকে দিতে তাকে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। এতে ১ সপ্তাহের মধ্যে মিলবে ভোগান্তি ছাড়া পাসপোর্ট। এসব অভিযোগের বিষয়ে সোমবার কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাহাবুব রহমান ও কম্পিউটার সহকারী সাদ্দাম হোসেন ও মুঠোয় ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করেও তারা কেউ ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক মো.শাহিন ইমরান বলেন, বিষয়টি উদ্বেগজনক। সেবার বিনিময়ে কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।।
মন্তব্য