২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
আন্তর্জাতিক:
চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেইনবো ফাউন্ডেশনের মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নতুন সংকট আরাকান আর্মি! ভারতে অস্ত্র কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ,চরম ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বিপিএলে খুলনাকে হারিয়ে জয়ে ফিরল রাজশাহী বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান ইতালির আয়োজনে ৫৩ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপিত দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ১০ ডিসেম্বর দামেস্কে ঢুকে পড়েছেন বিদ্রোহীরা,পালিয়েছেন আসাদ বাংলাদেশিদের না পাওয়ায় ধস নেমেছে ভারতের পর্যটন ব্যবসায় কলকাতা মিশনে ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতায় ভিয়েতনামে যাচ্ছে রাজশাহীর মারিন আশরাফী 

একটি প্রেমের গল্প

  বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

কলেমে নীলিমা আক্তার নীলা >>>
—————————–
জীবনে আমি একটি প্রেমও করতে পারলাম না
এমনও না
আমি দেখতে কালো, মোটা,বেটে কিংবা কুৎসিত
বরং অসম্ভব সুন্দরী আমি
আমাকে দেখা মাত্রই কেউ প্রেমে পড়ে যাবে আমি নিশ্চিত
তারপরও আমার একটি প্রেম হলো না
কেউ কাছ থেকে বললো না ভালোবাসি
দু-এক জন দূর থেকে ভালোবাসি বলেই লাপাত্তা।
কেন যে প্রেম হলো না গল্পটা বলছি
তার আগে বলে নিই
আমার প্রতিটা বান্ধবী প্রেম করতো
আর দূর থেকে তাদের ভালোবাসাটাকে পাহারা দিতে দিতে
আমি ঈর্ষান্বিত বোধ করতাম
একসময় বলেই ফেললাম –
তোদের ব্যবস্থা এখন তোরা কর, এই সবে আমি আর নেই।
কতো স্বপ্ন ছিল
কেউ একজন আমায় ভালোবাসবে
আমার জন্য অপেক্ষা করবে
সারাক্ষণ আমার আশেপাশে ঘুরঘুর করবে
এমনটা আমার জীবনে কখনো হয়নি
যা হয়েছে তা আরো ভয়ঙ্কর মারাত্মক।
কথায় বলে –
দুনিয়াতে একটি করে মাস্তান থাকে
এই হচ্ছে সে-ই মাস্তান
যার ভয়ে সবাই অস্থির
সে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে আমি শুধু তার
এইসব কান্ডকারখানায় আমি ভীষণ অতিষ্ঠ
ভয়ানক বিরক্ত
কখনো কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়তো মাঝরাস্তায়
কখনো হাত কেটে রক্ত দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে লিখে রাখতো আমার নাম
কিংবা
কেউ একজন আমার দিকে তাকালেই
তারপর দিন সে হাসপাতালের বেডে।
কতো বার মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে তাকে অভিশাপ দিয়েছি
কতো বার তার মৃত্যু কামনা করেছি আমি
কতো বার তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলেছি –
মরবো তারপরও এমন একটি ছেলেকে ভালোবাসবো না,কক্ষনো না।
আমার মনটা সারাক্ষণ মেঘাছন্ন থাকতো
সারাদিন একটি অস্বস্তিতে দিন কাটতো আমার।
একদিন বিকেলে করিডোরে বসে আছি
হঠাৎ আমার বন্ধু সাইমন এসে হাজির
বললাম, কিছু বলবি?
হুম
বল
তন্ময়কে দেখতে যাবি না?
বুকটা কেমন যেনো মুচড় দিয়ে উঠলো, বললাম –
ফাজলামো করছিস আমার সাথে? মাস্তানটাকে কেন দেখতে যাবো? কী হয়েছে ওর, মরে গেছে?
মরে গেলেই তো তুই খুশি, তাই না?
হুম, অনেক খুশি হবো আমি, আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা আনন্দের খবর হবে এটি
সাইমন বললো, এই সেরা আনন্দটি সবার আগে তোকে দিচ্ছি আমি
শুন তিথি তন্ময় তো মাস্তান, বখাটে
তার সামনে দাঁড়িয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায়নি
কিন্তু সত্যি করে বলতো তিথি
সে কখনো তোর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে? কেন করেনি জানিস সে তোকে পাগলের মতো ভালোবাসতো
তুই তাকে এতোটা অপমান করেছিস, প্রতিটা অপমানে সে হেসেছে, গর্ব বোধ করেছে।
আমি রেগে গেলাম, বললাম-
মাস্তানটার হয়ে সুপারিশ করতে এসেছিস,তাইনা?
খুব আফসোস এই ভাগ্যটা তোর হলোনা তিথি, কারণ
আজ সকালেই তন্ময় বাইক এক্সিডেন্টে মারা গেছে
মারা যাবার আগে বার বার তোর নামটি বলেছে
তুই খুব ভাগ্যবতী তিথি
এতোটা ভালোবাসা তুই পেয়েছিস, যে ভালোবাসা পাওয়ার কোন যোগ্যতায় তোর নেই।

সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো বিফলে যায় না
মৃত্যুর পরও প্রমাণ করে গেলো তন্ময়
তন্ময়ের প্রাণহীন ছবিটা আঁকড়ে ধরে
বেঁচে থাকে তিথি,প্রাণহীন ছবিটাকেই ভালোবাসে গভীর যত্নে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page