১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড: ১৭ আনসার সদস্য আহত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাুষিত কোলাগ্রামের রাস্তার বেহাল দশা অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের দাবী এলাকাবাসীর। লোহাগাড়ায় বাসের ধাক্কায় দুই আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছি, ভোগবিলাসের জন্য নয়- শাহজাহান চৌধুরী  শোক_সংবাদঃ নির্যাতিত মটর শ্রমিক একতা ঐক্য সমগ্র বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা কমিটির শুভ উদ্বোধন আর্থিক ঘাটতি বাড়ছে অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিপাকে বন্দি দেশের অর্থনীতি বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে খেলাধুলাকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে— শামা ওবায়েদ তাহিরপুরের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মঠে ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুল তানোরে নতুন এসিল্যান্ড শিব শংকর বসাকের যোগদান

একটি প্রেমের গল্প

  বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

কলেমে নীলিমা আক্তার নীলা >>>
—————————–
জীবনে আমি একটি প্রেমও করতে পারলাম না
এমনও না
আমি দেখতে কালো, মোটা,বেটে কিংবা কুৎসিত
বরং অসম্ভব সুন্দরী আমি
আমাকে দেখা মাত্রই কেউ প্রেমে পড়ে যাবে আমি নিশ্চিত
তারপরও আমার একটি প্রেম হলো না
কেউ কাছ থেকে বললো না ভালোবাসি
দু-এক জন দূর থেকে ভালোবাসি বলেই লাপাত্তা।
কেন যে প্রেম হলো না গল্পটা বলছি
তার আগে বলে নিই
আমার প্রতিটা বান্ধবী প্রেম করতো
আর দূর থেকে তাদের ভালোবাসাটাকে পাহারা দিতে দিতে
আমি ঈর্ষান্বিত বোধ করতাম
একসময় বলেই ফেললাম –
তোদের ব্যবস্থা এখন তোরা কর, এই সবে আমি আর নেই।
কতো স্বপ্ন ছিল
কেউ একজন আমায় ভালোবাসবে
আমার জন্য অপেক্ষা করবে
সারাক্ষণ আমার আশেপাশে ঘুরঘুর করবে
এমনটা আমার জীবনে কখনো হয়নি
যা হয়েছে তা আরো ভয়ঙ্কর মারাত্মক।
কথায় বলে –
দুনিয়াতে একটি করে মাস্তান থাকে
এই হচ্ছে সে-ই মাস্তান
যার ভয়ে সবাই অস্থির
সে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে আমি শুধু তার
এইসব কান্ডকারখানায় আমি ভীষণ অতিষ্ঠ
ভয়ানক বিরক্ত
কখনো কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়তো মাঝরাস্তায়
কখনো হাত কেটে রক্ত দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে লিখে রাখতো আমার নাম
কিংবা
কেউ একজন আমার দিকে তাকালেই
তারপর দিন সে হাসপাতালের বেডে।
কতো বার মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে তাকে অভিশাপ দিয়েছি
কতো বার তার মৃত্যু কামনা করেছি আমি
কতো বার তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলেছি –
মরবো তারপরও এমন একটি ছেলেকে ভালোবাসবো না,কক্ষনো না।
আমার মনটা সারাক্ষণ মেঘাছন্ন থাকতো
সারাদিন একটি অস্বস্তিতে দিন কাটতো আমার।
একদিন বিকেলে করিডোরে বসে আছি
হঠাৎ আমার বন্ধু সাইমন এসে হাজির
বললাম, কিছু বলবি?
হুম
বল
তন্ময়কে দেখতে যাবি না?
বুকটা কেমন যেনো মুচড় দিয়ে উঠলো, বললাম –
ফাজলামো করছিস আমার সাথে? মাস্তানটাকে কেন দেখতে যাবো? কী হয়েছে ওর, মরে গেছে?
মরে গেলেই তো তুই খুশি, তাই না?
হুম, অনেক খুশি হবো আমি, আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা আনন্দের খবর হবে এটি
সাইমন বললো, এই সেরা আনন্দটি সবার আগে তোকে দিচ্ছি আমি
শুন তিথি তন্ময় তো মাস্তান, বখাটে
তার সামনে দাঁড়িয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায়নি
কিন্তু সত্যি করে বলতো তিথি
সে কখনো তোর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে? কেন করেনি জানিস সে তোকে পাগলের মতো ভালোবাসতো
তুই তাকে এতোটা অপমান করেছিস, প্রতিটা অপমানে সে হেসেছে, গর্ব বোধ করেছে।
আমি রেগে গেলাম, বললাম-
মাস্তানটার হয়ে সুপারিশ করতে এসেছিস,তাইনা?
খুব আফসোস এই ভাগ্যটা তোর হলোনা তিথি, কারণ
আজ সকালেই তন্ময় বাইক এক্সিডেন্টে মারা গেছে
মারা যাবার আগে বার বার তোর নামটি বলেছে
তুই খুব ভাগ্যবতী তিথি
এতোটা ভালোবাসা তুই পেয়েছিস, যে ভালোবাসা পাওয়ার কোন যোগ্যতায় তোর নেই।

সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো বিফলে যায় না
মৃত্যুর পরও প্রমাণ করে গেলো তন্ময়
তন্ময়ের প্রাণহীন ছবিটা আঁকড়ে ধরে
বেঁচে থাকে তিথি,প্রাণহীন ছবিটাকেই ভালোবাসে গভীর যত্নে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page