২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পাশে ডিসি জাহিদুল সিআরএ সম্মাননা পেলেন আরজেএফ চেয়ারম্যান এস এম. জহিরুল ইসলাম সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী এড. নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরন নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে নৈশ প্রহরীদের বেঁধে হিমাগারে ডাকাতি জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত পিরোজপুর-২ আসনে যোগ্য প্রার্থী চেয়ে নেছারাবাদে মশাল মিছিল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতে আরসা-আরএসও, এপারে আতঙ্ক ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার বিজিবির চন্দনাইশ খাঁনহাট বাজারে ব্যবসায়ির দোকানে দুর্ধষ চুরি: থানায় অভিযোগ দায়ের বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করবে — শামা ওবায়েদ
  • প্রচ্ছদ
  • আন্তর্জাতিক >> সাহিত্য
  • ইসরাইলের প্রত্যাশা “ছেড়ে দেয় মা কেঁদে বাঁচি
  • ইসরাইলের প্রত্যাশা “ছেড়ে দেয় মা কেঁদে বাঁচি

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সাহিত্য ডেস্ক>>>  আমরা জানতাম ইসরায়েলের শক্তি সামর্থ সামরিক দক্ষতা যোগ্যতা ও আধুনিকতা পৃথিবীকে হার মানাতে পারে,এক কথায় অনন্য অদ্বিতীয় সমর বাহাদুরি ভাবগাম্ভীর্যের বেজায় অহংকারি জাতি তত্বে মধ্যপ্রাচ্যের জায়েনবাদি ইসরায়েলকে পরাশক্তিরা পর্যন্ত সমীহের চোখে দেখতেন। কথিত ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসই এখন বিশ্বের আইডল স্বপ্নের মত তাদের কাম ক্যারিশ্মা অদম্য চাঙা মনোবলের অধিকারী হামাস কখনো বিজয়ের কথা ভাবেননি তারা জীবনভর মৃত্যু শোক ও চোখে জলে অন্তরে বিজয় একেঁছেন দীর্ঘকাল।
    পাখির মত ঝাঁকে ঝাঁকে গাজাবাসির জীবন মৃত্যু দুর্দশা দেখে পৃথিবীর মানুষ বিস্মিত। টিভির পর্দায় পর্যন্ত ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখে এই ধরার মানতার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়েছে অঝোরে, এইরূপ জঘন্য অমানবিক নিষ্ঠুরতম হত্যাযজ্ঞ ও কাপুরুষত্ব মানুষের ভেতর থাকতে পারে তার প্রমাণ ইসরায়েল।
    কি পরিমাণ প্রাষন্ডতা অন্যায় অবিচার থাকতে পারে ইহার জাজ্জ্বল্যমান দৃষ্টান্ত একমাত্র ইসরায়েলই দুনিয়ার ইতিহাসে সর্ব প্রথম তাহা মানুষ স্বয়ং চোখে দেখতে পেয়েছেন।
    এহেন নির্দয়তা দেখতে সৃষ্টি কর্তা নিজেই হয়তো প্রস্তুত ছিলেন না। তাদের অমুলক হস্তক্ষেপ জুলুম জালিমির তান্ডবলীলা পৃথিবীর আয়ুকালে আগামীতে আর দেখা যাবে কিনা জানিনা।
    অনুমান ধারণা এবং প্রকৃত বাস্তবতার সমন্বয়ে চলমান যুদ্ধের শঙ্কা আশংকা মিলে পরিনাম পরিনতি মানবতা ও ধর্মের বিচারে আল্লাহ তাআলার কাছে ইসরায়েলের আর রক্ষা নাই।
    চরম দাম্ভিকতা ও অহংকারের ইসরায়েলের পরাজয় দেখতে বসেছে পৃথিবীর মানুষ,এতদিন অনেকেই জানতেন না এই ইসরায়েল একটি ডিম সর্বস্ব। আঙুলের কয়েকটি হালকা টুকাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার সত্যিকারের এই ইতিবৃত্ত যুদ্ধের চেহারা দেখে তাবৎ দুনিয়া অনুমান করতে পেরেছেন।
    সমরাঙ্গনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে শতভাগ সক্ষম হয়েছে ফিলিস্তিনের হামাস,যে কারণে এই বাস্তবতা যেন হুবুহু ইসলাম ও মানবতার জন্য এক উজ্জ্বল ইতিহাস হয়ে থাকবে।
    মানবতার ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম তাহা বন্দি বিনিময়ে কালে ছাড়া পাওয়া ইসরায়েলিদের ভাষ্য থেকে পৃথিবী বুঝতে পেরেছেন।
    সাধারণ জনগণের প্রাণহানি এড়িয়ে হামাসের আসন্ন বিজয় বার্তা পৃথিবীকে আশান্বিত করে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
    স্বীকার করতে বাধ্য যে হামাস এখন আরবসহ দুনিয়ার বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ বীর সেনা।
    গেল নভেম্বরের শেষ দিকে সাতদিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যেও আমরা দেখেছি ইসরায়েল বাহিনীরা গাজায় সাধারণ জনগণের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো থেকেও পিছপা হয়নি,মুহুরমহুর বোমার আঘাতে স্থাপনা বাড়িঘর ধ্বংস এবং অধিকাংশ শিশুসহ মানুষ হত্যা বিনে এই যুদ্ধে ইসরায়েলের অর্জন বলতে কিছুই নাই।
    তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থে গাজার সমস্ত স্থাপনা নির্মূল ও অমানবিক আচরনের জন্য পৃথিবীর মানুষের কাছে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ধুলোয় মিশে গেছে, এক কথায় ইসরায়েল রাষ্ট্র নিঃশেষ একথা হাজারবার নিশ্চিত।
    শুনেছি ইসরায়েলের এলিট ফোর্স গোলানি বিগ্রেডের ব্যাপক খ্যাতি ছিলো সামরিক ক্ষেত্রে, কিন্তু চলিত ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামীদের আক্রমণ কৌশলে একদিনেই বারজন সৈন্য বাহিনীর কবরস্থান রচিত হওয়ার দৃশ্য অনলাইনে ছড়িয়ে পরার পর কৌশলগত কারণে সত্বর উক্ত বিগ্রেডের সৈন্য সামন্ত প্রত্যাহার করে সৈনিকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে বাধ্য হয়।
    এবং ইসরায়েল বাহিনীর যমদূত হামাস থেকে প্রাণে বাঁচতে পেরে গোলানি বিগ্রেড বাহিনীর উল্লাস লক্ষ্য করেছে বিশ্ব। সাত ফ্রন্টে গাজায় যুদ্ধরত বাকি সৈনিকরা হামাস যোদ্ধাদের হাতে ডজনে ডজনে নিত্যদিন প্রাণ হারানোর এই ভীতিকর পরিস্থিতিতে রীতিমতো নাকানিচুবানি খেয়ে সৈনিকের দল সীমাহীন মানসিক ট্রমায় ভোগছে।
    যতই দিন গড়াই দলেদলে ইসরায়েলের করুন দশার কথা সবার জানা হয়ে গেছে, এর কিছু কিছু সত্যতা আগে তেমন না জানতে পারলেও ইদানিং ইসরায়েলের মিডিয়া গুলোতে ঘটনার অতি সামান্য অংশ কোন না কোন ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
    এ যুদ্ধের পরিনাম বলতে আপাতোত গাজাকে ইসরায়েলি সৈনিকের গোরস্থান ভাবতে বসেছেন মানুষ,এবং ইহুদি সৈন্যের প্রত্যেকে মানসিক অবস্থার পঙ্গুত্বের কারণে হাহুতাশ ও হতনত ধরপর ধরপর অবস্থা।
    ইসরায়েলের সামরিক খবরে জানা গেছে হামাসের মোকাবেলার মুখে শারীরিক পঙ্গুত্ব নিয়ে হাসপালে কাতরাচ্ছে পাঁচ হাজারের অধিক সৈন্য, বিপন্ন ইচ্ছা শক্তি নিয়ে হাজার হাজার সৈনিকের যেন গাজায় আর থর সইছে না।
    পরাশক্তির মোড়লরাও ইসরায়েলের এই নিলজ্জ করুন পরিনতি দেখে নিজেরা তটস্থ।
    এই জায়েনিষ্টদের পৃথিবীর সকল মানবতার অভিশাপ বহন করে যেতে হবে আজ থেকে অনন্তকাল।
    পৃথিবীর ইতিহাসে এত নিকৃষ্ট নির্বোধ দুর্বল অদক্ষ আর ভুলে নিমজ্জিত রণকৌশল দুনিয়ার মানুষ এর আগে আর কোন যুগেই হয়তোবা দেখেননি,দেখে মনে হবে শুধু হামাস নয়,দু’একজন ইসরায়েলি বাহিনীকে চাইলে যে কেউ হত্যা করতে পারে।
    বিশ্বের সামরিক বিবেচনায় এখন সর্ব নিন্মের রেংকিং এ ধরা হচ্ছে ইহুদি সেনাদের।
    প্রকৃতার্থে ইসরায়েলিরা দেশ বা যুদ্ধ বিজয়ের সৈনিক বলা বেমানান,এরা বরং জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেশ ধ্বংস করার সৈনিক রূপে চিহ্নিত হয়েছে বিশ্ব দরবারে,
    বিমান যুদ্ধ ছাড়া তাদের স্থল যুদ্ধের কোন যোগ্যতা চোখে পড়েনি,বলা চলে এরা সবাই মেরকাভা ট্যংক ও বোলড্রোজারের ড্রাইভার।
    পৃথিবী আরও বুঝতে চাইছে তবে ইসরায়েল কি আদোও দানবের দেশ, তাদের সমস্ত অপকীর্তিকে বর্তমানে খুব ঘৃণাভরে দেখছেন দুনিয়ার মানুষ।
    মানুষ বলতে চাইছেন এই কুখ্যাত দানবের জাত মানবতার অভিশাপ থেকে কখনো মুক্তি পেতে পারে না।
    প্রাসঙ্গিক কারণ বশত বলা চলে এডলফ হিটলার সম্পর্কে সেই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়টা এখন বারবার সামনে এসে ঘুরপাক খাচ্ছে।এবং তখনকার হিটলারের ভূমিকা ও আদ্যপান্ত সঠিক সত্য ও নির্ভূল বাস্তবতার বিষয়াদির ইতিহাস জানার জন্য আগে আমাদেরকে সত্য মেসেজ দিতে পারেননি। বোধহয় এডলফ হিটলারকে আরও অধিকতর চর্চার এখনই সুযোগ। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকালের আসল খলনায়ক কে ইহার আসল রহস্যের নিকট আমরা হয়তো আজও পৌঁছতে পারিনি। প্রকৃতার্থে এর হরেক গভীরতা জানতে পারলে হিটলার হয়তোবা কোন একদিন মরণোত্তর নোভেল পুরষ্কার বিজয়ে বিবেচ্য হওয়ার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না ইহার অপেক্ষা কেবল অনাগত ভবিষ্যতের।
    বলা বাহুল্য এই যুদ্ধে ইসরায়েলের পন্ডিত্য বোকামি যেটা সেটি হলো গাজার মাটিতে তাদের হাজার হাজার সৈনিকের লাশের সারি সত্ত্বেও বদান্যতার হুংকার বর্তমানে বিশ্ব নন্দিত হামাসকে তারা নির্মূল করে ছাড়বে, ইসরায়েলের পাগল এসব দম্ভোক্তি একজন বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করুন কত বড় হাসির কথা ?

    পাদটীকাঃ
    অযোগ্য অথর্ব নির্বোধ ভীতু ইসরায়েলি সেনারা বিশ্ব নন্দিত হামাস বাহিনীর বীরত্বের দৌড়ে পুরোদমে নাস্তানাবুদ খানখান হয়ে এখন পলায়ন উন্মুখ, বিজয়ের স্বাদ ত্যাগ করে এরা এখন ভেতরে ভেতরে শুধু প্রাণে রক্ষার জিকির চলছে, দ্বিতীয় বার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সুবাদে ফিরে যেতে পারলে ইহুদি কাগজে বাহিনীরা পূর্ণবার গাজার গোরস্থানে ফিরতে আর রাজি থাকবে কিনা সন্দেহ।
    তাছাড়া সৈন্যদের মাঝে যুদ্ধবিরতির প্রবল আকাঙ্খা লক্ষ্য করা যায়।
    ইসরায়েলের জনগণও চাইছেন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ায় শ্রেয়তর। অপরদিকে ইসরায়েল থেকে লাখ লাখ ইসরায়েলের মানুষ ভীনদেশে শরনার্থীর সার্টিফিকেট নিয়ে বহির্বিশ্বে পালাতে শুরু করেছে, এরি মাঝে যদি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তবে কট্টর জায়েনবাদি নেতা নেয়াহু মাঠ ছেড়ে পালানোর পথ অনেকাংশে সুগম বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল এই মতে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে “ছেড়ে মা কেঁদে বাঁচি”।

    কবি শাহাদাত হোসেন তালুকদার
    সাহিত্য সম্পাদক
    বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page