লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি>>> নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা গ্রামে প্রশাসন কর্তৃক অবমুক্তকৃত অর্পিত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ করবার সপ্তাহ ঘুরতেই নতুন দেয়া সীমানা ও বন্ধ করা গেট পুনরায় ভেঙ্গে অবমুক্ত করেছে প্রশাসন।জানা গেছে,গত ২২আগষ্ট ৯০নং লক্ষীপাশা মৌজার এসএ ৪৬০ নম্বর খতিয়ানের ২৬১নম্বর দাগের ০.০৬একর অবমুক্তকৃত অর্পিত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ করে প্রশাসন।লক্ষীপাশা গ্রামের বাসিন্দা ব্যারিস্টার দেদার এলাহী গত ৬জুন নড়াইলের জেলা প্রশাসক বরাবর ওই অবমুক্তকৃত অর্পিত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারনের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে নড়াইলের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর গালিব মাহমুদ পাশা লোহাগড়া উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো( সংযুক্তিতে কর্মরত) কে সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা অবমুক্তকৃত অর্পিত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ করবার দায়িত্ব প্রদান করেন।২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে কানুনগো তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন।পুলিশ প্রশাসন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।উল্রেখ্য,ওই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবেশীদের সাথে ব্যারিস্টার দেদার এলাহীর বিরোধ চলছিলো।গত ২২ আগষ্ট প্রশাসন জমির সীমানা নির্ধারন করবার পরও ওই জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো।২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ প্রশাসন সাথে নিয়ে ওই জমিতে উপস্থিত হয়ে পুনরায় পূর্বে নির্ধারন করা সীমানা অবমুক্ত করেন।এসময় গত সপ্তাহে বন্ধ করা গেট প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে প্রশাসন।ফলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন খুশি হলেও প্রতিপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এবং আইন অমান্য করে গেটসহ সীমানা ভাঙ্গা হয়েছে বলে দাবি করেন।ব্যারিস্টার দেদার এলাহী পক্ষে রাষ্ট্র আমাকে আদেশের কাগজ দিয়েছে সেই আদেশ বাতিল করে তো পুনরায় আমার সীমানা ভাংচুর করবে কিন্ত আমরা তো কোন আদেশ পাই নাই এটা কেমন হলো।এই নিয়ে চলছে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।সহকারী কমিশনার(ভূমি) মিঠুন মৈত্র সাংবাদিকদের জানান,উপরের নির্দেশে এটা করা হয়েছে।সপ্তাহ ঘুরতেই প্রশাসনের দ্বিমুখী কার্যকলাপে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ব্যারিস্টার দেদার এলাহী পক্ষে রাষ্ট্র আদেশের কাগজ দিয়েছে সেই “আদেশ” বাতিল করে তো পুনরায় আমার সীমানা নির্ধারণ করে তো ভাংচুর করবে কিন্ত আমরা তো কোন আদেশ পাই নাই এটা কেমন হলো।এই নিয়ে চলছে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
মন্তব্য