মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী>>> নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় স্ত্রী এবং পাঁচ বছরে কন্যা সন্তানকে হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ নুরুজ্জামান আনিস (৩৬) কে পটুয়াখালী দুমকি আঙ্গারিয়া এলাকা থেকে র্যাবের যৌথ অভিযানে ২৪ ঘন্টার ভিতরে গ্রেফতার করেছে।গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত আনুমানিক ১২.৩০ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন তেতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় মোঃ নুরুজ্জামান আনিস তার স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।উক্ত ঘটনায় তার শশুর বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় ০৯/০৯/ ২০২৪ইং তারিখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং ১২/৩৬৮। উক্ত ঘটনার পর ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে র্যাব-৮ এবং র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে আসামীকে দুমকি থানা দিন আংগারিয়া এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।মামলার এজার সূত্রে জানা যায় যে আসামি মোঃ নুরুজ্জামান আনিস ৯ বছর পূর্বে বরগুনা জেলার আমতলী থানার মোঃ শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে রুকসানা বেগম (৩০) কে বিবাহ করেন। দীর্ঘ ৯ বছর সংসার জীবনে তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। কিন্তু বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই থাকতো।উক্ত কলহের যের ধরে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকার সময় পূর্বের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্ত্রীর রোকসনা বেগমের সাথে ঝগড়া শুরু করে।ঝগড়ার এক পর্যায়ে নুরুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রীর গালে ঘাড়ে হাতে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে।গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রোকসানা মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে তার ৫ বছরের ছোট্ট কন্যা সন্ধান জান্নাত ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করে এবং কান্নাকাটি শুরু করে।তখন আসামি নুরুজ্জামান ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছোট্ট কন্যা জান্নাতের মাথায়, গলায়,ও হাতে এলোপাথাড়ি কোপ দিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করে। এই ঘটনার পর আসামী তার শ্যালক কে ফোন দিয়ে উক্ত ঘটনার বিষয় জানিয়ে ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়।উক্ত সংবাদ শুনে ভিকটিমের পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে রোকসনা বেগমকে মৃত এবং শিশু জান্নাতকে রক্তাক্ত অবস্থায় তোষকের উপরে পড়ে থাকতে দেখে।স্ত্রী রোকসানা ঘটনা স্থানে মারা গেলেও কন্যা সন্তান জান্নাতকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে কর্ণগোপ ইউ এস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।হাসপাতালে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় শিশুর জান্নাত মৃত্যু বরণ করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে দুমকি থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
মন্তব্য