শাহ জাহান আলী মিটন, সাতক্ষীরা :>>> সাতক্ষীরার সাদা সোনা খ্যাত রপ্তানিযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে অভিযান চালিয়েছে দেবহাটা থানা পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার পারুলিয়া ও গাজীরহাটসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি মৎস্য সেড, অকশন সেন্টার ও রপ্তনিকারক ডিপোতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নের্তৃত্ব দেন দেবহাটা থানা পুলিশের নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাবুল আক্তার। এসময় দেবহাটা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওনসহ স্থানীয় চিংড়ি ব্যবসায়ী সংগঠন গুলোর নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে রপ্তানিযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়ি ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়ে ওসি মো. বাবুল আক্তার বলেন, বিশ্ববাজারে সাতক্ষীরার বাগদা ও গলদা চিংড়ি’র ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি সাতক্ষীরার অন্যতম একটি ব্র্যান্ড। চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সেজন্য সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ না করার জন্যও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত মুনাফার আশায় সাতক্ষীরার এক শ্রেনীর অসাধু চিংড়ি ব্যবসায়ী ও ডিপো মালিক দীর্ঘদিন ধরে বাগদা ও গলদা চিংড়িতে ইঞ্জেকশনের সুঁই ও সিরিঞ্জের মাধ্যমে সাগুদানা, জেলি এবং ফিটকিরি, চিড়া, ভাত ও পানির মিশ্রন সহ নানা অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির আকার ও আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রেড আকারে চড়া দামে বিক্রয় ও বিদেশে রপ্তানী করছেন। এতে করে একদিকে যেমন দেশের সাধারণ ভোক্তারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন, ঠিক তেমনই বিশ্ববাজারে ক্রমাগত চাহিদা হারাচ্ছে সাতক্ষীরার বাগদা ও গলদা চিংড়ি। তবে সম্প্রতি অপদ্রব্য পুশ বন্ধে একের পর এক জরিমানাসহ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন পারুলিয়া চিংড়ি বণিক সমিতি। এতে করে পারুলিয়াতে অপদ্রব্য পুশ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় উপজেলার গাজীরহাট, টিকেট, পুটিমারী, সুবর্ণাবাদ, বড়শান্তা, আশাশুনির বদরতলা ও ব্যংদহা এলাকার মৎস্য সেড গুলো ও বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশে ঝুঁকেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া সম্প্রতি খুলনা থেকে আসা কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাতক্ষীরার বিভিন্ন মৎস্য সেড থেকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি কিনে তা খুলনায় নিয়ে অপদ্রব্য পুশ করে সাতক্ষীরার চিংড়ির সুনাম ও চাহিদা নষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন পারুলিয়া চিংড়ি বণিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর সহ সংশ্লিস্টরা।
মন্তব্য