১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
তানোরে রাতের আধাঁরে ঘাস মারা বিষ দিয়ে ৪ বিঘা জমি বোরো ধান পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ৫২ লাখ টাকার ইলিশ নিয়ে মহেশখালীতে তোলপাড় ইউপিডিএফ, জেএসএস ও কেএনএফসহ সকল সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন নিষিদ্ধের দাবি বাঙালি ছাত্র পরিষদের তানোরে ফসলী জমি হ্রাস খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা চট্টগ্রাম নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না গ্রেফতার সাতকানিয়ায় পুলিশের অভিযানে ২ আসামি গ্রেফতার পুঠিয়ায় রাজশাহী পূর্ব জেলা মজলিসে সুরা অধিবেশন অনুষ্ঠিত মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার, মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন। ছলচাতুরি না করে আ.লীগের বিচার ত্বরান্বিত করতে হবে ইসরাইলি হামলায় একদিনে ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত শতাধিক
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • ‘যে টাকা দিয়েছিলাম তার অর্ধেকে তিনশ ঘর নির্মাণ করায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ’
  • ‘যে টাকা দিয়েছিলাম তার অর্ধেকে তিনশ ঘর নির্মাণ করায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ’

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    নিউজ ডেক্স >>> ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এর অর্ধেক দিয়ে তিনশ ঘর নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনী।এটা পুরোই উল্টো খবর।সাধারণত যে টাকা দেয়া হয়,তার দ্বিগুণ চাওয়া হয়।এখানে যা দেয়া আছে তার অর্ধেক ব্যবহার হয়েছে।বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ঘর বিতরণ করা হয়।ঘরের চাবি বিতরণের সময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ড. মুহাম্মদ ইউনুস, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা।এ সময় ড. ইউনূস বলেছেন, ২০২৪ সালে আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করি সঙ্গে সঙ্গে বন্যা শুরু হয়। ঠিক বুঝতে পারছিলাম না এ জায়গায় কি বন্যা হবে। অন্যান্য বছর যে বন্যা হয়, এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জায়গার বন্যা। এটা কত গভীরভাবে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, এটার কোনো ধারণা ছিল না। অথবা আন্দাজ করা হয়েছিল যে তাড়াতাড়ি চলে যাবে। তবে দিন যত যাচ্ছিল এটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বন্যা বেড়ে যাচ্ছিল। সবাই ত্রাণ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, সাহায্যের জন্য সারাদেশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা যে কত বড় বন্যা ছিল তা বুঝতে পেরেছি বন্যা চলে যাওয়ার অনেক পরে। বন্যায় যারা বাড়িঘর হারিয়েছিল, তাদের কোথাও যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। নানাভাবে প্রস্তাব আসছিল, বাড়ির জন্য টাকা দিতে হবে। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে আমি একটু শক্ত অবস্থান নিয়েছিলাম। টাকা দিতে গেলে এই টাকার ভাগ-বাটোয়ারা অনেক রকম হয়ে যাবে। যারা প্রাপ্য তাদের হাতে পৌঁছাবে না। তখন প্রস্তাব এসেছিল যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে করার, সেই প্রকল্পের বিষয়ে জানা ছিল না, তবে নামটা জানা ছিল। তখন ভাবলাম যে এটা কী করা যায়, পরে জানলাম এটা সেনাবাহিনী করবে। তখন স্বস্তি পেলাম, আসলে টাকাটা সঠিকভাবে ব্যবহার হবে।আরও পড়ুন: ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা সেনাবাহিনীসহ সবার সহযোগীতায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে বন্যা কবলিতরা উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য গৃহনির্মাণ বরাদ্দ দেয়া অর্থের অর্ধেকে নির্মাণ কাজ শেষ করায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ভালো লাগছে যে, টাকাটার সঠিক ব্যবহার হয়েছে। ঘরটাও সঠিকভাবে নির্মাণ হয়েছে। অনেক সময় টাকা ব্যবহার করা হলেও গুণগতমান ঠিক হয় না। আজকে গুণগতমানের ব্যাপারেও আশ্বস্ত হলাম। আমরা যে টাকা দিয়েছিলাম তার অর্ধেক টাকাতে কাজটা হয়েছে। উল্টো খবর। সাধারণত যে টাকা দেওয়া হয়, তার দ্বিগুণ চাওয়া হয়। এখানে যা দেওয়া আছে তার অর্ধেক ব্যবহার হয়েছে। একটা আনন্দের খবর।তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে সঠিক এবং সৎভাবে কাজ করার এ দৃষ্টান্ত সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে। মাথা গোজার ঠাই হয়েছে এবার সন্তানদের উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নজরদের পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন খান পাঠানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।জারি করা প্রজ্ঞাপনের বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০০৮ এ অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন খান পাঠান (বিপি ৬৫৮৬০১০০-৫৫)-কে অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে ০২ (দুই) বছর মেয়াদে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় কো-অর্ডিনেটর হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।আনসার উদ্দিন খান পাঠান ২০২২ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে পুলিশের সংস্কার ও দায়িত্বশীল পদে থাকার কারণে পরবর্তী ক্ষমতাসীনদের দ্বারা চাকরি জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি প্রচণ্ডরকম নিগৃহীত হয়েছেন। তার পেশাদারিত্ব ও সততার জন্য তারা তাকে সে সময় পুলিশ বাহিনী থেকে সরিয়ে দিতে পারেনি। অবসরের পর থেকে তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড ও লেখালেখিতে ব্যস্ত ছিলেন। নেত্রকোনার পূর্বধলার কাজলা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page