বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ>>>
টাঙ্গাইল ১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী লিলি সরকার বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মধুপুর উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মধুপুর পৌরসভার তিন তিনবারের সাবেক সফল মেয়র মরহুম সরকার সহিদের সহধর্মিণী। সরকার সহিদের অকাল মৃত্যুতে মধুপুর ও ধনবাড়ি উপজেলা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক যখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন সরকার সহিদের সহধর্মিণী লিলি সরকার। তার আবির্ভাবে মধুপুর ও ধনবাড়ি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থক গোষ্ঠীদের মনে পুনরায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। লিলি সরকার বলেন, মরহুম সরকার সহিদের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা রয়েছে তা পূরণের সাধ্য আমাদের কারো নেই। তিনি ছিলেন সাধারণত মানুষের কাছে একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি আরও বলেন, তার এতো জনপ্রিয়তা, তার জন্য সাধারণ মানুষের মনে এতো ভালোবাসা আর এই ভালোবাসাই প্রমান করে তিনি ছিলেন একজন নিস্কণ্ঠক রাজনীতিবিদ। তিনি নিজের জন্য কিছুই করেন নাই তার স্ত্রী সন্তান রেখে দিনরাত মানুষের সেবা করে গেছেন। যেসকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে দীর্ঘ সময় রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, মামলা হামলার শিকার হয়েছেন তারা আজ কোথায় যাবেন ? তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকার সহিদের ইচ্ছে পূরণে যারা দীর্ঘ সময় পাশে থেকে তার রাজনৈতিক পথচলা সুদৃঢ় করেছে তাদেরকে সাথে নিয়ে আগামী যেকোনো আন্দোলনে অংশ গ্রহন করে বিএনপির হাতকে আরও শক্তিশালী করে তুলবো। তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দল যদি তাকে মধুপুর ধনবাড়ি থেকে মনোনয়ন দেন তাহলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে এই আসনটি বিএনপিকে উপহার দিবেন।ইতিমধ্যে তিনি প্রতিনিয়ত তার একমাত্র ছেলে আদিত্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন। তিনি মধুপুর এবং ধনবাড়ি উপজেলার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের এলাকারই মেয়ে, আপনারা সরকার সহিদের পাশে যে ভাবে ছিলেন ঠিক সেই ভাবে আমার পাশে থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আন্দোলনে পাশে থাকার জন্য সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানান।
মন্তব্য