মোঃমোমিনুল ইসলাম দিনাজপুর সদর রিপোর্ট>>>
উপজেলার ০৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের খোদ শিবপুর গ্রামের প্রতিপক্ষ কর্তৃক বাড়ীর টিনের বেড়া ভাংচুরের সময় বাধা দিতে গিয়ে বাড়ীর মালিক গুরুত্বর আহত হয়ে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুরুত্বর আহত কালী চরণের (৫৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ঘটনায় অপর আহত ব্যক্তি উপেন চন্দ্র রায় (৩২) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরে গিয়েছেন।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সোমবার (০৫ জুন) বেলা আনুমানিক ২টার সময় বাড়ীর সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কালী চরণদের ঐ গ্রামের মৃত: সচিন চন্দ্র রায় এর পুত্র জতুল চন্দ্র রায়দের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।এ বিষয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে কালী চরণ অভিযোগ দিলে শহরগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গসহ মিলে সরেজমিনে সালিশের মাধ্যমে জমি মাপ-যোগ করে উভয় পক্ষের সম্মতিতে লিখিত ভাবে আপস মিমাংসা করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন চেয়ারম্যান। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমানায় কালী চরণ পক্ষ বেড়া দিতে গেলে প্রতিপক্ষ জতুলরা আবারো বাধা প্রদান করে।পরবর্তীতে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হলে থানা কর্তপক্ষ তদন্ত পুর্বক উভয়ের কাগজপত্রাদি জাছাই-বাছাই করে আগের চেয়ারম্যানের দেওয়া সিদ্ধান্তকে বহাল রাখেন। এতো কিছুর পরেও জতুল গংরা গায়ের জোড়ে সোমবার (০৫ জুন) বেলা আনুমানিক ২টার সময় আবারো কালী চরণের টিনের বেড়া ভাংচুর করতে থাকলে কালী চরণ বাধা দিতে গেলে জতুল এর ভাই গাডুলু চন্দ্র রায়, পুতুল চন্দ্র রায়, একই এলাকার বাবুল চন্দ্র রায় এর পুত্র সমাজ চন্দ্র রায়, যতিনের স্ত্রী লিলিমা রাণী রায়, বাবুলের স্ত্রী নির্বাসী বালাসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০-১৫ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে কালী চরণ ও তার বাড়ীর লোকদের মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তান্ডব চালায়।এ সময় তারা কালী চরণকে রাম দা দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সঙ্গে সঙ্গে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ অবস্থা দেখে গ্রামবাসীরা ছুটে এলে জতুল গংরা পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীরা গুরুত্বও অবস্থায় কালী চরণকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করান।
মন্তব্য