জালাল উদ্দিন,পেকুয়া>>> কক্সবাজারের পেকুয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির স্বাগত মিছিলে হামলা, গুলি ও ককটেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পেকুয়া-চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম,পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী,রাজাখালীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর,মগনামার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম,ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর যুবলীগ নেতা আজম উদ্দিন,আনসারুল ইসলাম টিপুসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরো ৫০/৬০ জনকে।গত (২৯অক্টোবর) মঙ্গলবার উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম ফরহাদ হোছাইন বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা রুজু করেন।মামলায় তিনি উল্লেখ করেন বিগত ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে নব-ঘোষিত উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির স্বাগত মিছিলে নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ,মারধর ও ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।হামলায় ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান সাঈদী,আবু তৈয়ব,এরশাদুল আলম,রেজাউল করিম মানিক,তামিম হোছাইন ও মোহাম্মদ রাজুসহ আরো অনেকে গুরুতর আহত হন।সে সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের প্রভাবে এই ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ। অবশেষে গত মঙ্গলবার ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদ হোছাইন বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দারের করেন।
মামলার বাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম, ফরহাদ হোছাইন বলেন,স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমরা সুষ্ঠুভাবে একটি মিছিলও করতে পারিনি।তিনি আরো বলেন,উপজেলা ছাত্রদলের স্বাগত মিছিলে পেকুয়া বাজারে সাবেক এমপি জাফরের নেতৃত্বে আমাদের মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করা হয়।এতে আমিসহ আমার ছাত্রদলের অংসখ্য নেতাকর্মী আহত হন।থানায় তখন ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা বসে ছিল বলে আমরা মামলাও করতে পারিনি এবং ন্যায় বিচারও পাইনি।আমি আশা করি নতুন বাংলাদেশে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন,হামলা,গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে।আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে।
মন্তব্য