মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী>>> উদ্দেশ্য প্রণীত সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা যুবদল সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন।বুধবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি লিখত বক্তব্য রাখেন।এসময় জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।লিখিত বক্তব্যে লিটন বলেন, আমি পটুয়াখালী শহরের একজন স্থায়ী বাসিন্দা।আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে আসছি।আমি দীর্ঘদিন পটুয়াখালী জেলা ছাত্র দলের সভাপতি ও আহবায়ক থাকা অবস্থায় সততার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেছি।আমি এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে থেকে পটুয়াখালীতে আন্দোলন করেছি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে আমি আন্দোলন করেছি।এরপর ২০০১ সালে বি.এন.পি ক্ষমতায় আসে।তখনও আমি পটুয়াখালী জেলা ছাত্র দলের সভাপতি ছিলাম।পরবর্তীতে আমি শিশু পার্কে বর্ণাঢ্য সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্র দল থেকে বিদায় নেই।এর পরে আমি যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হই।পটুয়াখালী জেলার যুবদলের সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক এর দ্বায়িত্ব পাই।আমি সচ্ছ এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসাবে পটুয়াখালীতে পরিচিত।আমি ২০১৮ সাল থেকে অদ্যবধি জেলা যুবদলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।বিভিন্ন সময় ছাত্রদল এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় পর্যায় এবং বরিশাল বিভাগীয় পর্যায় গুরুত্বপূর্ন সাংগঠনিক দ্বায়িত্ব পালন করেছি।১৭টি বছর ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে লড়াই করে আসছি।আমার বর্ণাঢ্য ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে মানুষের ও দলের পক্ষে উপকার ছাড়া জ্ঞাত কোন অন্যায় কাজ করি নাই এবং কখনও ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করি নাই।আমি হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার কারা বরণ করতে হয়েছে এবং এখনো ঢাকা ও পটুয়াখালীতে অনেক গুলি রাজনৈতিক আমার নামে মামলা রয়েছে। যাহা আপনারা সবাই কম বেশি অবগত আছেন । আমার পিতা মরহুম আলহাজ্ব কাঞ্চন আলী মিয়া পটুয়াখালী শহরে একজন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি বিএনপি’র একজন প্রতিষ্ঠাকালীন জেলা সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি পটুয়াখালী জেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। আমার বাবা সহ আমার পরিবারের বিরুদ্ধে আমার জানামতে দখলদার, চাঁদাবাজির মত কোন অভিযোগ নেই । তিনি আরও বলেন অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, গত ২৯ অক্টোবর আমার প্রতিবেশি ওমর বিন আজম আপনাদের জেলা প্রেস ক্লাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। উহা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। আমি এবং আমার পরিবার এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, তাঁর সহদর বড় ভাই আযম বিন রশিদ ওরফে বাবু গত ৩০/১০/২০০০ ইং তারিখ গোলাম সরোয়ার ফোরকান, মোঃ মনিরুল ইসলাম লিটন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মিজানুর রহমান, আক্তার হামিদ এবং মোঃ এনামুল হক নামে .১৮০৫ জমি সাব কবলা দিয়ে দখল বুঝাইয়া দেন এবং উক্ত তারিখ থেকে আমরা উক্ত জমি ভোগ দখলে এবং নিয়মিত পৌরকর, সরকারি খাজনা প্রদান করে আসছি।লিটন বলেন আমি মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণীত ষড়যন্ত্রের শিকার,আমার বিরুদ্ধে ওমর বিন আজম কর্তৃক মিথ্যা তথ্য দিয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয় তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।আমাকে রাজনৈতিক ভাবে খাদে ফালানোর জন্যেই একটি কুচক্রী মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলেন মন্তব্য করেন তিনি।এ সময় তিনি তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।এসময় তিনি ওমর আজমকে মামলা বাজ এবং সম্মানী ব্যক্তি হয়রানিবাজ বলে শ্রুতি রয়েছে।
মন্তব্য