বিপুল রায়- ( নাগেশ্বরী) কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ>>>
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জে ফেডারেশনের ভাংঙ্গা টিনশেট ঘরে কষ্টের সাথে মিল রেখে জিবনযাপন করছেন বিনোদ বালা (৬৪) এর পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা ওয়াবদা বাধে দির্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছেন বিনোদ বালা(৬৪) ভেলোয়া রানী(৬২) বিশোদ বালা(৪১) তিন বোন এক সাথে পরর্বতীতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম (পাউবো) নোটিশের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেয় যে ওয়াবদা বাধের সংস্কার কাজ শুরু হবে বাধের দুই পাশে কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না । এসময় দিশেহারা হয়ে পরে তারা তিন বোন অনেকে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে অন্য জায়গায় জমি নিয়ে চলে গেছে কিন্তু বিশোদ বালা(৬৪) পরিবারের কোনো জমি ছিলো না তাই তাদের এই মুহূর্তে কোথাও আশ্রয় নেওয়ার মতো জায়গা হয়নি
পরে যখন থাকার আশ্রয় পায়নি তখন অনেক অনুরোধের পরে কালীগঞ্জ ফেডারেশনের সভাপতি মো হবিবর রহমান তাদের ফেডারেশনে থাকার অনুমতি দেয় ওখানে এখন আশ্রয় নিয়ে জিবনপ্রবাহ চালাচ্ছেন।সরেজমিনে গিয়ে বিনোদ বালা(৬৪), ভেলোয়া(৬২),বিশোদ রানী(৪১) তিন বোনের সাদা কথা বললে তারা জানান যে আমরা গরিব মানুষ নাই জমি নাই ঘর হামরা আগে যেখানে ওয়াবদা ছিলোং এখন ওখানে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দিছে এখন ঘুমানোর মতো জায়গা নাই খুবই কষ্টে আছি কেউ কোনো সাহায্যও করে না ফেডারেশনে এখন আছি কয়দিন পরে এখান ছেড়ে যেতে হবে ফেডারেশনের কার্যক্রম ও ট্রেনিং শুরু হলে তো আমাদের রুম ছেড়ে দিতে হবে তখন কোথায় যাবো কি খাবো ভাবলেই চোখের মধ্যে জল আসে আর বৃষ্টি হলে ঘুমাতে পারি না বৃষ্টি হলে জল পড়ে বিছানা ভিজে যায় তখন সারারাত জেগে থাকতে হয় কষ্ট করে বিনোদ বালা বলেন আমাদের যদি সরকার থেকে সাহায্য না করে তাহলে আমাদের কি হবে ভগবানে জানে হয়তো না খেয়ে মরবো। সরকারী থেকে যদি আমাদের তিন বোনকে ২ টা ঘর দেয় তাহলে আমাদের থাকার মতো একটা আশ্রয় থাকবে আমরা খুবই গরীব নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে আমাদের আকুল আবেদন তারা জেনো আমাদের একটু থাকার জায়গা করি দেয় আমরা আর কিছু চাই না শুধু থাকার মতো একটা ঘর চাই।বিনোদ বালার ৬ সদস্যের পরিবারে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ফেডারেশনে বিনোদ বালা গ্রামে গ্রামে বাশেঁর খাচায় শুঁটকি বিক্রি করে সেই আয় দিয়ে তাদের পরিবার চলে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার পর আর সেই ব্যবসাটাও আর নাই এখন খুবই কষ্টের মধ্যে চলছে তাদের জিবন ফেডারেশনের পাশ্ববর্তী এলাকাবাসীরা জানান যে আমরা দেখি তারা ফেডারেশনে আশ্রয় নিয়ে থাকতেছে তাদের তো কোনো জায়গা জমি নাই যে কোথাও জমি কিনে গিয়ে থাকবে, আমরা দেখি বাহিরে একটা রান্নার চুলা দিছে বৃষ্টি আসলে তাদের মুখে আর ভাত উঠে না আমরা চাই বিনোদ বালার পরিবারকে শেখ হাসিনা সরকারের আশ্রয় প্রকল্পের আওতায় এনে একটা ঘরবাড়ি করে দিলে তাদের কষ্ট টা কমবে।এলাকাবাসী ও বিনোদ বালার পরিবারের দামি ভূমি অফিস থেকে যে ঘরগুলো সরকার থেকে দেয় সেখানে বিনোদ বালার পরিবারকে ঘর দেওয়া হোক সবাই বলে সরেজমিনে এসে যদি কোনো অফিসার তদন্ত করে তাহলে তারাই পাওয়ার যোগ্য হবে প্রতিবেশী দিনেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান বিনোদ বালা রা খুবই অসহায় তাদের তিন বোনের কারো স্বামী নাই সবাই মারা গেছে তারা গ্রামে গিয়ে শহকটা বিক্রি করে সেই টাকায় চাল ঢাল এনে ভাত খায় ঘরবাড়ি ভাঙ্গার পর তো সেটাও আর নাই এখন বলতে হেলে খুবই কষ্টময় অবস্থায় আছে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সাহায্য করা উচিত দেখলোং সরকার অনেক ঘরবাড়ি করে দিচ্ছে বিনোদ বালাকে একটা দেওয়া দরকার ঘর,বিনোদ বালারা তিন বোন ইতিপূর্বে কয়েকবার কালীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ধরনা দিয়েও কোনো ধরনের সাহায্য পায়নি
মন্তব্য