মোঃ আঃ লতিফ মিয়া সখিপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি;
১৮ মে টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে জিহাদ ওরফে কায়সার নামক এক দুষ্কৃতকারী,গাড়ি চালক সালমানের গাড়ি ভারা করে।গাড়ি চালক সালমান একজন সহজ সরল বোকা টাইপের ছেলে, বাবা মা নেই এতিম।বড় ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়,বড় বোন নাসরিন বিয়ে করে স্বামী সন্তান নিয়ে সংসারী। ছন্নহীন জীবনে অনেক কষ্টে অন্যের সহায়তায় গাড়ি চালকের কাজ শিখে,সরকারি বিধি মোতাবেক ড্রাইভিং লাইসেন্স করে বিগত দুই-তিন বছর যাবৎ চালকের চাকরি নিয়ে কোনরকমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো সে। কিন্তু ভাগ্যের বিরম্ভনায় পরিস্থিতির স্বীকার। কায়সার নামক ধূর্ত প্রকৃতির মাদক ব্যবসায়ী চালক সালমানের গাড়ি ভাড়া করে সে। সালমানের চালিত গাড়িটি ভাড়া করে বেড়ানোর কথা বলে চলে যায় ময়মনসিংহে বর্ডার এলাকা হালুয়াঘাট সীমান্তে।পথিমধ্যে ধূর্ত মাদক ব্যবসায়ী কায়সার ভালুকা উপজেলার অর্ন্তগত ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আংগাড়গাড়া নামক বাজার থেকে জাহিদ হাসান জয় ওরফে (আগুন) নামক তার আরেক বন্ধুকে গাড়িতে তুলে। আগুন নিজেও গাড়ি চালাতে পারে এবং একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে বলে রাস্তায় গাড়ি চালক সালমানকে জানায়। আগের রাতে গাড়ি চালক তার চালিত গাড়িটির একটি টিপ ছিলো বিধায় একটু শারিরীক ভাবে ক্লান্ত বোধ করলে কৌশলে গাড়ী ড্রাইভ করে জিহাদ হাসান জয় ওরফে আগুন। তারপর ওরা গাড়ি নিয়ে চলে যায় হালুয়াঘাট সীমান্তবর্তী এলাকায়।সালমানকে গাড়িতে রেখে ওরা সারাদিন অজানা জায়গায় ঘুরতে যায়।ফিরে এসে আবার সন্ধ্যাবর্তী সময়ে ফিতরি পথে রওয়ানা হয়।ধূর্ত আগুন নামক মাদক ব্যবসায়ী সালমানকে বলে কয়ে গাড়িটি আসার পথেও আবার ড্রাইভ করে আসতে থাকে। একপর্যায়ে ১৯ মে ভোর ৬ টার কিছু পরে গাড়িটি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ গেইটের সামনে আসলে দায়িত্বরত পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশ গাড়িটি থামাতে সিগনাল দেয়।কিন্তু গাড়ি ড্রাইভরত ধূর্ত মাদক ব্যবসায়ী আগুন পুলিশ সিগনাল অমান্য করে দ্রত ওভারটেক করার চেষ্টা করে,পাশের সিটে বসা গাড়ি চালক সালমান তাকে বার বার গাড়ি থামাতে বললেও সে তা শুনেনি।একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্য গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে আহত হন, দ্রুত দায়িত্বরত পুলিশের অন্য সঙ্গীয় সদস্যরা তাৎক্ষনিক ধাওয়া করে গাড়িটি ধরে ফেলে। তারপর দায়িত্বরত ময়মনসিংহ মহানগরীর কোতোয়ালি থানার এস আই (নিঃ) নিরুপম নাগ সঙ্গীয় কয়েকজন দায়িত্বরত এস,আই ও কনস্টেবল মিলে গাড়িটি তল্লাশি চালান।গাড়ির পিছনের সিটে বসা জাহিদ হাসান জয়ের দুই পায়ের চিপায় থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগ থেকে ভারতের তৈরি আমদানি নিষিদ্ধ ৪ বোতল মদ শব্দ করা হয়।এরপর জাহিদ হাসান জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গাড়ির পিছনের ডালা খুলে একটি ব্যাগ থেকে আরও ৩০ বোতল ভারতের তৈরি আমদানি নিষিদ্ধ মদ উদ্ধার করা হয়। মাদকসহ বহনকৃত সিলভার কালার একটি প্রাইভেটকার শব্দ করা হয়।যার রেজিঃ নং ঢাকা মেট্রো গ ৩৬- ৮২ ৯৫ এবিষয়ে ময়মনসিংহ মহানগরীর মডেল কোতোয়ালি থানায় (১) আসামি জাহিদ হাসান জয় (২২), পিতা-আনোয়ার হোসেন,সাং ডাকাতিয়া আংগারগাড়া উপজেলা/থানা ভালুকা,জেলা ময়মনসিংহ।(২) জিহাদ ওরফে কাওসার (২০),পিতা আবদুল কাদের মিয়া, সাং কালিদাস বৌ বাজার,(৩) সালমান (২৪) পিতা শামসুল সাং বংকী উত্তর পাড়া উভয় থানা/উপজেলা সখীপুর,জেলা টাঙ্গাইল।গংদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬(১) এর ২৪(খ)/৪০ ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
পরবর্তীতে আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী(৪)শামীম পিতা অজ্ঞাত সাং সখিপুর (শামীম নেতার মিলের পাশে বাঁশ বাড়ি রেষ্টুরেন্ট সংলগ্ন) কেও আসামি করা হয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় (১) জাহিদ হাসান জয় (২) জিহাদ ওরফে কাওসার এবং ৪ নং আসামী শামীম অতি গোপনে পূর্ব থেকেই মাদক দ্রব্যের ব্যবসা ও মাদক সেবন করতো। কিন্তু বিষয়টি গাড়ি চালক সালমান কিছুই জানতো না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখিপুর উপজেলা রেন্ট এ কার চালক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রাব্বানী চালক ইউনিয়নের একজন নিয়মিত সদস্য। সে আসলেই একজন হাবাগোবা ও বোকা ধরনের বলেই আটকা খেয়ে জেল হাজতে আছে।এবং তার পরিবার নিধারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে।আমরা তার মুক্তি কামনা করছি।
মন্তব্য