১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
ছাতকের চরমহল্লা ইউনিয়নে পূর্ববিরোধের জেরে দু”পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত ধানকাটা-আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা রাঙ্গুনিয়ায় মৎস্যজীবীদের ছাগল পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত তানোরে অনিরাপদ পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কৃষকরা ফরিদপুরের নগরকান্দায় জোরপূর্বক জমির ধান কেটে নেওয়ায় থানায় অভিযোগ বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপ করতে যাওয়া মালদ্বীপের শিক্ষার্থীকে হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা। সাতকানিয়া একতা ট্রাক্টর মালিক শ্রমজীবী সমবায় সমিতির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত! নড়াইল-২ আসনে খেলাফত মজলিসের লিফলেট বিতরণ ও গন সংযোগ বরেন্দ্রে চলছে আমন কাটা-মাড়াই মহোৎসব বাম্পার ফলনের আশা তবুও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক নেছারাবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য >> রাজশাহী
  • তানোরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাল আত্মসাৎ
  • তানোরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাল আত্মসাৎ

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি>>> রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও আলোচিত চেয়ারম্যান সুফি কামাল মিন্টুর বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১৪,৮২০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে,তানোরের কামারগাঁ ইউপির খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার সুফি কামাল মিন্টু।তার অনুকুলে ৪৯৪ জন কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছেন।এ কার্ডধারী উপকারভোগীরা নিয়মানুযায়ী এক মাস পর পর ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।বিগত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আগস্ট ও অক্টোবর মাসের চাল এক সঙ্গে বরাদ্দ করা হয়।একই সঙ্গে  দুই মাসের চাল কার্ড প্রতি ৬০ কেজি করে দেবার কথা।ইউপির অন্যান্য ডিলারগণ ৬০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।কিন্তু সুফি কামাল মিন্টু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কার্ড প্রতি এক মাসের ৩০ কেজি করে চাল দেন। অন্যদিকে ৪৯৪টি কার্ডের বিপরীতে অক্টোবর মাসের বরাদ্দকৃত  ১৪,৮২০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন।যার বাজার মুল্য ৫০ টাকা কেজি ধরা হলে ৭,৪১,০০০টাকা।স্থানীয়রা জানান,ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয় কিন্তু সাবেক  এমপি ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার  হস্তক্ষেপের কারণে মিন্টুর বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।তবে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার উপকারভোগীরা মিন্টুর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।সরেজমিন উপকারভোগী কামারগাঁ গ্রামের সুমনা বেগম কার্ড নম্বর ১৩৭৫, আনুয়ারা বেগম কার্ড নম্বর ১৩৭৪,কচুয়া গ্রামের আলেকজান বিবি কার্ড নম্বর ৭৫৮,মহাদেবপুর গ্রামের কানন চন্দ্র প্রামানিক কার্ড নম্বর ৮৪৬, শ্রীখন্ডা গ্রামের আলেয়া বেগম কার্ড নম্বর ৭৭৪, কামারগাঁ গ্রামের আব্দুল মতিন কার্ড নম্বর ৮২০,ফিরোজ মন্ডল কার্ড নম্বর ৮৫০,জামাল মন্ডল কার্ড নম্বর ৮৭৬,আয়েস মন্ডল কার্ড নম্বর ৯২০ ও হাফেজ সরদার কার্ড নম্বর ১৪৫৬ তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা এক মাসের ৩০ কেজি চাল পেয়েছেন।কিন্তু তারা অক্টোবর মাসের বরাদ্দকৃত চাল পাননি।এছাড়াও সুফি কামাল মিন্টুর বিরুদ্ধে কমারগাঁ জামে মসজিদ  ও হাফেজিয়া মাদরাসার পুকুর ইজারার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার মাদরাসার সভাপতি মুঞ্জুর রহমান বাদি হয়ে সুফি কামাল মিন্টুকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।এসব ঘটনায় মিন্টুর শাস্তির দাবিতে ইউপিবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।অথচ একের পর এক নানা অপকর্ম করেও আওয়ামী লীগের এই নেতা এখানো বহাল তবিয়তে রয়েছে।এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সুফি কামাল মিন্টু সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তাকে ফাঁসাতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এসব মিথ্যাচার করছে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page