মোঃআল-আমিন হোসেন,রাজশাহী>>> রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘মিজু গ্যাং’ এর মূলহোতাসহ- ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫ এর মোল্লা পাড়া সদর দপ্তর । মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবোনগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।আজ বুধবার (১৫ মে) র্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিং এ র্যাবের অধিনায়ক মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নগরের খোজাপুর এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩০), একই এলাকার মৃত মুকুলের ছেলে মো. বকুল (৩৮),ডাসমারী পূর্বপাড়ার বাবুল হোসেনের ছেলে মো. ঈমান (২৪),আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. শাকিব (২৫),আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রবিন (২০), আসলাম আলীর ছেলে মো. রাব্বি (২৪), শমসের আলীর ছেলে আমান (২২),নাসির উদ্দিনের ছেলে বিজয় (১৭),আব্দুল খালেকের ছেলে মো. অনিক (২১)।তারা মতিয়া থানাধীন ধরমপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা।এ ছাড়া চর শ্যামপুরের মোতালেবের ছেলে ইয়ামিন আলী (২৮) ও চারঘাটের শিমুলিয়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে বিপ্লব আলী (২২)।এসময় তাদের কাছ থেকে ধারালো হাসুয়া ১৮টি,ধারালো তলোয়ার ৭টি,চাকু ২টি, কাটার হাতল ৩টি, চাইনিজ কুড়াল ১টি,সিমেন্টের ব্লক- ৫৩টি,খেলনা পিস্তল ১টি,মোটরসাইকেল ৩টি ও ১২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।র্যাব – ৫ জানান আসামীরা সবাই ‘মিজু গ্যাং’ এর সদস্য।তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মহানগর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জমিদখল করতেন।এলাকায় কোনো ব্যক্তি জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণসহ যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুললে তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কোনো কাজ করতে পারত না।এ ছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দলবদ্ধভাবে ছিনতাই করত তারা। র্যাব-৫ এর অধিনায়ক মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, মিজানুর থেকে মিজু গ্যাং।তারা টেলিগ্রাম ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করত।বাসাবাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।তারা দীর্ঘদিন যাবত সংঘবদ্ধভাবে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ছিনতাই,টেন্ডারবাজি,সরকারি কাজে বাধা, সংঘবদ্ধভাবে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য