মোঃ সিজার হোসেন জেলা ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি (রাজশাহী)>>> প্রতিবন্ধী জরিপ,কার্ড,ভাতা ও টিসিবি কার্ড করে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিন হাজার (৩০০০/-) টাকা থেকে আট হাজার (৮০০০/-) টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে।রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চার (৪) নং নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এক (১) দুই (২) ও তিন (৩) নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোসাঃ চায়না বেগম এর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।ভুক্তভোগীরা জানান তিনি নির্বাচনের কয়েক মাস পর থেকেই এসকল দুর্নীতি করে আসছেন।তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সাধারণ মানুষ আরও অভিযোগ করেন তিনি আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ভোট কারচুপি করে বিজয়ী হয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে সম্প্রতি নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এক (১) দুই (২) ও তিন (৩) নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোসাঃ চায়না বেগম তিনি প্রতিবন্ধী জরিপের নামে দুই (২) নং ওয়ার্ড এর মোছাঃ হোসনেয়ারা বেগম (৪১),মোছাঃ রজিনা বেগম (৪৩) ও মোছাঃ সালেহা (৩৫) এদের শারিরীক ভাবে সমস্যা থাকার কারনে তাদের কার্ড করে দেওয়ার জন্য তিন হাজার পাঁচশত (৩৫০০/-) টাকা করে মোট দশ হাজার পাঁচশত (১০,৫০০/-) টাকা দাবী করে। টাকা দিলে কার্ড হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেন মোসাঃ চায়না বেগম।এমনকি তার নিকট আত্মীয় (নাম না প্রকাশ করতে ইচ্ছুক) তার থেকে টিসিবি কার্ড করে দেওয়ার জন্য দুই (২০০০/-) টাকা তার দুই বোনের থেকে প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়ার জন্য আঁট হাজার (৮০০০/-) করে মোট ষোলো (১৬,০০০/-) টাকা দাবী করেন এবং বলেন টাকা দিলেই কার্ড মিলবে।এতদিন ভুক্তভোগীরা মোসাঃ চায়না বেগম এর প্রভাবের কারনে ভয়ে মুখ খুলেননি।কিন্তু আওয়ামী সরকার পতনের পর তারা এখন একে একে মুখ খুলছেন।বিষয়টি নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (১) দুই (২) ও তিন (৩) নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোসাঃ চায়না বেগম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার ভাষ্যমতে তিনি মানুষের উপকার করছেন।৪ নং নিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।তবে তিনি বলেন প্রমাণ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য