নিউজ ডেক্স>>> মসলার মিলে পা রাখতেই ওপরের দেয়ালে সাঁটানো ব্যানারে আটকে যায় চোখ।সেখানে বড় হরফে লেখা-‘৯৯% খাঁটি মসলা, স্বাদে অতুলনীয়!’ কিন্তু সেই ‘খাঁটি মসলার’ দোকানে ঢুকেই আঁতকে ওঠলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।সেখানে পচা মরিচ শুকিয়ে গুঁড়া করা হচ্ছিল।শুধু তাই নয়,যে ইঞ্জিনে মসলা গুঁড়া করা হচ্ছিল সেখানেই আবার বানানো হচ্ছিল দাঁতের মাজন।যেখান থেকে সাধারণ ক্রেতারা অন্ধ বিশ্বাসে কিনে নিয়ে যান মরিচ, হলুদ ও ধানিয়াসহ অন্যান্য মসলা।কিন্তু কে জানতো খাবার অনুপযোগী নষ্ট পচা মরিচের সাথে ফটকা মরিচ মিশিয়ে স্বল্পমূল্যে এসব গুড়া মরিচ বিক্রি করা হতো।দোকানের সামনে ৯৯% খাঁটি মসলা বিক্রির কথা লিখা থাকলেও বাস্তবতায় যেন শতভাগ ভেজালের স্বর্গরাজ্য।ভোক্তাধিকার অভিযানে ধরা পড়ে মরিচ মিলটির এমন কারসাজি।মিলের ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখা যায় ময়লাযুক্ত নষ্ট পচা মরিচের বস্তা।চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা অবর্জনা,জমে আছে বালি। মিলটিতে মরিচ,হলুদ গুড়ার করার পাশাপাশি কালো দাঁতের মাজনও গুড়া করা হয়।নোংড়া পরিবেশে খাবারের অনুপযোগী ফটকা মরিচ চূর্ণ করে গুড়ো মরিচ হিসেবে বিক্রি করার অপরাধে মরিচের মিলটিকে ৪০ হাজার জরিমানা করেছে ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।মিলটির এমন ভেজালের স্বর্গ রাজ্য দেখে হতভাগ স্থানীয়রাও।নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী নিয়ে ভেজালের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদে।আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার এলাকায় মিলটি অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়।জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এরূপ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ।তবে মিলটির মালিক হাজী নজীব আহমেদ তার অপরাধের কথা স্বীকার করলেও তার দাবি নষ্ট মরিচ গুড়া এলাকায় বিক্রি করেন না, অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে এনে দেওয়া মরিচ তিনি গুড়া করেন দেন।অভিযানে সাথে ছিলেন সহকারী পরিচালক (মেট্রো) মো: আনিছুর রহমান, সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আকতার।উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের বাকলিয়া থানার একটি টিম ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য