পটুয়াখালী প্রতিনিধি>>>>>
পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্কুলে যাওয়ার পথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকাল পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর ও পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের সংযোগ সেতুর ওপর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অপহৃত শিক্ষিকার বাবা গিয়াস উদ্দিন গলাচিপা থানায় দু’জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, খবর পাওয়ার পর পরই অপহৃত শিক্ষিকাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। দিনে দুপুরে শিক্ষিকা অপহরণের ঘটনায় বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রসমূহ জানায়, গলাচিপা উপজেলার পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ইশরাত জাহান মৌসুমি সদ্য নিয়োগ লাভ করেছেন এবং এ বছরের জানুয়ারি মাসে ওই স্কুলে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের মহিউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. মাহামুদ রাব্বি ওই শিক্ষিকাকে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। এতে ওই শিক্ষিকার সাড়া না পেয়ে রোববার স্কুলে যাওয়ার পথে সংযোগ সেতুর ওপর অপহরণের এ ঘটনা ঘটায়। রাব্বির আরেক সহযোগি স্থানীয় মনির দফাদারের ছেলে শিমুল আগে থেকে ওই সেতুর ওপর ওত পেতেছিল। শিমুল পেশায় ভাড়াটে মোটরসাইকেল ড্রাইভার। তারা দু’ জনে মিলে শিক্ষিকার পথ রোধ করে জোর পূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে অপহরণ করে। এসময় ওই শিক্ষিকা ডাক চিৎকার দিলেও স্থানীয়রা কিছু বোঝার আগেই শিক্ষিকাকে নিয়ে অপহরণকারীরা ঘটনাস্থল দ্রুত ত্যাগ করে। অপহৃত শিক্ষিকার বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি থানায় অভিযোগ করেছি। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো সন্ধান পাইনি। তবে রাব্বির স্বজনরা মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবে বলে সময়ক্ষেপণ করছে।এ বিষয়ে পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুজবেল্ট মিয়া বলেন, রাব্বি আমার পরিচিত কিন্তু কাছের কেউ নয়। সে একবার আমার সঙ্গে ওই স্কুলে গিয়েছিল। এছাড়া আর কিছুই নয়। আমিও শিক্ষিকাকে খুঁজছি। ঘটনা সম্পর্কে পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জাকির হোসেন বলেন, আমি পিছনের গাড়িতে আসছিলাম। এসময় পথে আমাকে আমার স্কুলের অন্যান্য সহকারি শিক্ষকরা অপহরণের ঘটনা জানায়। আমি তাৎক্ষণিক জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের জানাই। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন এ বিষয়ে বলেন, আমার কাছে ওই শিক্ষিকার বাবা স্থানীয় রাব্বি ও শিমুলের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। একই সঙ্গে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন থানার বাহিনীও কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।এদিকে, জানা গেছে রাব্বি স্থানীয় একটি কলেজের ছাত্র। এলাকায় বখাটে হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। ওই শিক্ষিকা ছাড়াও এরআগে একাধিক মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। #
মন্তব্য