নিউজ ডেক্স>>> সরকারের তালিকায় কর্ণফুলী নদীর বোয়ালখালীতে কোনো বালুমহাল নেই।তারপরও আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ক্ষমতার দাপটে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন বালুখেকোরা।শুধু বোয়ালখালী নয়,রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান অংশেও নদীর বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তৎকালীন মন্ত্রী-এমপিদের দাপট খাটিয়ে এ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল তাদের অনুসারীরা।যত্রতত্র-অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনে তীব্র হয়েছে কর্ণফুলীর ভাঙন।শত শত কোটি টাকা খরচ করে ভাঙন ঠেকাতে হচ্ছে সরকারকে।তৎকালীন সরকারিদলের নেতারা অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িত থাকায় প্রশাসন অনেকটা নীবর ছিল।৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যায় বালুখেকোরা।গোপনে নিরাপদে সরিয়ে নেয় বালু উত্তোলনের ভলগেট ও ড্রেজার।বালু বিক্রির জায়গাও হাতছাড়া হয়ে যায়।আওয়ামী লীগের বালুখেকোরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন পর নিশ্বাস ফেলছে কর্ণফুলী কিন্তু তাতে কী !সব চাপ পড়েছে এখন কালুরঘাটে।কালুরঘাটে ভলগেট ও ড্রেজার দিনে দিন-রাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।রেলের জায়গা দখল করে চলছে অবৈধ বালু বাণিজ্য।সরেজমিন দেখা যায়,কালুরঘাট সেতুর উভয় তীরে গড়ে উঠা বালু বিক্রয়কেন্দ্র।নদীর ধার ও নদী সংলগ্ন খালের তীর দখল করে ড্রেজার ও নৌকা থেকে বালু উত্তোলন করা হয়।স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে নদী ও খালের তীর দখল করে বালু বাণিজ্য করে আসছে।সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকেও বালু উত্তোলন করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।কালুরঘাট সেতুর উভয় তীরে রেলওয়ের বিশাল ভূ-সম্পত্তি রয়েছে।এছাড়াও সরকারি খাস জমিও রয়েছে সেতুর পূর্ব পাড়ে।সেতু দুই পাড়ের নদী ও খালের তীর দখল করে বালুবিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন,২০২৩-এ বলা হয়েছে, সেতু, কালভার্ট,ড্যাম,ব্যারেজ,বাঁধ,সড়ক,মহাসড়ক,বন,রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন ১ (এক) কিলোমিটার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সীমানার মধ্যে বালু উত্তোলন করা যাবে না।কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ের তিনজন স্থানীয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা রেল ও সরকারের জায়গা দখল করে বালুবাণিজ্য করে আসছে।রেলওয়ে নদীর পশ্চিম পাড়ে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে রেলের ¯িøপার দিয়ে সেই বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করে দিলেও রহস্যজনক কারণে পুনরায় তা চালু করা হয়েছে।তারা বলেন,বালুখেকোদের বেশির ভাগ ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর বালুখেকোরা আত্মগোপনে চলে যায়।কিছুদিন বন্ধ ছিল বালু উত্তোলন ও বিক্রয়কেন্দ্রগুলো।কিন্তু অদৃশ্য কারণে ফের রমরমা হয়ে উঠেছে কালুরঘাট এলাকায় বালু উত্তোলন।
মন্তব্য