২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য >> কক্সবাজার >> চট্টগ্রাম >> দেশজুড়ে >> শিক্ষা
  • উখিয়া রাজা পালং এমদাদুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ।।
  • উখিয়া রাজা পালং এমদাদুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ।।

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    বার্তা পরিবেশক।। কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রাজা পালং এমদাদুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন মাদ্রাাসার জ্যেষ্ট শিক্ষক মোহাম্মদুল হক বাংলা প্রভাষক। এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে অধ্যক্ষ নিয়োগের নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন মা্দ্রাসার দাতা সদস্যরা।লিখিত অভিযোগ ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উখিয়া উপজেলার রাজা পালং এমদাদুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হাসান আলী গত ২৮/০২/২০২২ ইংরেজি তারিখ ও উপাধ্যক্ষ খায়রুল বশর ২৮/০২/২০২১ ইংরেজি তারিখ অবসরে যাওয়ায় নিয়মানুযায়ী ০১/০৩/২০২২ ইংরেজি তারিখ হইতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাদ্রাসার সিনিয়র আরবি প্রভাষক মৌলানা আব্দুল হক তিনি অধ্যক্ষ পদে প্রার্থীতা করার জন্য ১০-০৯-২০২৩ ইংরেজি তারিখ পদত্যাগ করেন।তখন মাদ্রাসা গভর্নিং বোর্ড সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং জ্যেষ্টতম শিক্ষক বাংলা প্রভাষক মোহাম্মদুল হক পাশ কাটিয়ে তার পদে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. আবুল ফজলকে। যা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা -২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যম্ত সংশোধিত) পরিপন্থী।এদিকে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে তিনি অধ্যক্ষ পদে গত ২৭/০৮/২০২৩ ইংরেজী তারিখ দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক আজকের দেশ বিদেশ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এবং নিজে একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদনও করেন। এমনকি তার পরিচিত কয়েকজনসহ তার আপনজনকেও অধ্যক্ষ পদে আবেদন করান।অপর দিকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অভিজ্ঞতা থাকার পর ও আব্দুল হামিদ নামের এক প্রার্থীর আবেদন বাতিল করেছে বলেও জানা যা এজন্য তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও মাদ্রাসা গভর্নিং বোর্ড বরাবর আবেদন করেন।এদিকে মাদ্রাসা গভর্নিং বোর্ড মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অমান্য ও জ্যেষ্টতা লংঘন করে মো আবুল ফজলকে বিধিবহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে প্রদান করায় মাদ্রাসার জ্যেষ্টতম শিক্ষক বাংলা প্রভাষক মোহাম্মদুল হক বিগত ২৫ শে অক্টোবর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করিলে কিছুদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়।এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো আবুল ফজল সুকৌশলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের বিনিময় ম্যানেজ করে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেন এবং আগামী ১৮ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্য করা হয় বলে জানান মাদ্রাসার জ্যেষ্টতম শিক্ষক বাংলা প্রভাষক মোহাম্মদুল হক অবিলম্বে উখিয়া রাজা পালং এমদাদুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধসহ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অমান্য ও জ্যেষ্টতা লংঘন করে মো আবুল ফজলকে বিধিবহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অপসারণের জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন মাদ্রাসার জ্যেষ্টতম শিক্ষকবৃন্দ। মা্দ্রাসার অধ্যক্ষ পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, ‘এতদিন মাদ্রাসাটি ভালো চলছিল। অনেক আলোর মুখও দেখেছে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে মো. আবুল ফজল যোগ্যদের সুযোগ না দিয়ে নিজেই এককভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার এই অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানাই। ’অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল ফজল বলেন, ‘আমি একজন প্রার্থী মাত্র। আমার সব ধরনের যোগ্যতা আছে বলেই আমি দরখস্ত করেছি। তাই আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো। নিয়োগ বোর্ড যোগ্য মনে করলে আমাকে নিয়োগ দিবে, যোগ্য মনে না হলে নিয়োগ দিবে না। এখানে আমার কোনো ষড়যন্ত্র নেই। যারা আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে তারা সঠিক বলেনি।’

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page