২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
নবাগত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে চট্টগ্রাম জেলা উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ে কিশোরগঞ্জে অবস্থান কর্মসূচি,পরিশেষে দাবি পূরণে আনন্দ-উল্লাস অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে  অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে  লোহাগাড়ায় নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশ ধসে শ্রমিকের মৃত্যু দুর্গাপুরে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার বাঘায় গৃহবধুর মৃত্যুর পর পালালো স্বামী রাজশাহী তানোরে হিমাগারে মজুদ আলু নিয়ে কৃষক-ব্যবসায়ীদের চরম দুশ্চিন্তা ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা তানোর বিলকুমারী নদী দিন দিন শুকিয়ে যাওয়ার পথে, তবুও মাছের প্রাচুর্যে মুখর

চুয়াডাঙ্গায় চলছে পক্ষ পরিবর্তনের খেলা

  বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

মোঃ সজিব উদ্দিন চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি >>>

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী রাজনীতিতে ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন এ দলের নেতাকর্মীদের পক্ষ পরিবর্তনের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। মূলত দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সাথে হাত মেলাচ্ছেন দলের নেতারা। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে পক্ষ পরিবর্তনের এ বিষয়টি বেশি লক্ষ্যনীয়। সে হিসেবে ওই নেতার সূত্র ধরে কর্মীরাও করছেন পক্ষ পরিবর্তন। যদিও এ বিষয়টিকে দলীয় কৌশল হিসেবেই যুক্তি দেখাচ্ছেন নেতারা। সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগেরর সাবেক আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন ও আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি ইউনিটের নেতৃবৃন্দ পছন্দের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সাথে প্রচারণা শুরু করেছেন। তাদের নেতৃত্বে কর্মীরাও এমপি প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার প্রায় ৪ বছর ধরে চলে আসা প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে নিজ ঘরে ফিরেছেন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সাথে একাত্মতা জানিয়েছেন। চাচা-ভাতিজার মধ্যে এ বন্ধনকে কেন্দ্র করে উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠেছে উভয় পক্ষের কর্মীরা। এতদিন জেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ আলাদা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করলেও এখন থেকে একসাথেই দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। আবার নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণাও চালাচ্ছেন নঈম জোয়ার্দ্দার পক্ষের কর্মীরা।এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুকে শুরুর দিকে এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাথে নির্বাচনী কর্মকান্ডে দেখা যায়। গত ৩০ নভেম্বর রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। সেদিনও প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাথে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা যায় জিপু চৌধুরীকে। এরপর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলে জিপু চৌধুরী সমর্থকরা আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ফ্রিজ প্রতীকের এম এ রাজ্জাক খানের সাথে প্রচারণায় নামেন। মূলত তার নেতৃত্বাধীন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের বর্তমান সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহম্মেদ ও সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমানের সাথে গত ২১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর প্রচারণায় নামেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা। এর সাথে যোগ দিয়েছেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরাও।
অপরদিকে, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে সমর্থন দিয়েছেন। আফরোজা পারভীন নিজেই এ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তথ্য গোপনের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এরপর আফরোজা পারভীন কর্মীদের নিয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাথে সংহতি জানিয়ে নির্বাচনী কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। এছাড়া, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাথে আলমডাঙ্গার কয়েকটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। গত ২০ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা শহরে পথসভা করেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এসময় তার সাথে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদিন খোকন, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ালীগের সাবেক সভাপতি হাসান কাদির গনু, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হক তবা, পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হোসেন বাবু, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোল্লা কামরুজ্জামান শামিম, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম খান স্বপন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার ও সম্পাদক কাজী চন্দনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পথসভায় অংশ নিতে দেখা যায়।পক্ষ পরিবর্তন করা একাধিক নেতা জানিয়েছেন, যেহেতু এবার নির্বাচনে বিএনপি নেই সেহেতু আমাদের সভানেত্রী ঘোষনা দিয়েছেন যে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। আবার যেকোন প্রার্থীর সাথেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়া যাবে। এতে কোন বাধা নেই। এজন্য অনেক নেতাই তার পছন্দের প্রার্থীর সাথে একত্মতা জানিয়ে ভোটে নামছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক নেতা জানান, এটি আসলে দলীয় সিদ্ধান্ত। দলীয় কৌশল হিসেবেই নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাথে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। তবে যার পক্ষেই কাজ করা হোক না কেন, তিনি তো নিজ দলেরই। এজন্য এতে দলে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page