২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
সিআরএ সম্মাননা পেলেন আরজেএফ চেয়ারম্যান এস এম. জহিরুল ইসলাম সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী এড. নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরন নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে নৈশ প্রহরীদের বেঁধে হিমাগারে ডাকাতি জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত পিরোজপুর-২ আসনে যোগ্য প্রার্থী চেয়ে নেছারাবাদে মশাল মিছিল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতে আরসা-আরএসও, এপারে আতঙ্ক ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার বিজিবির খোকসায় আওয়ামী লীগ নেতার ভেজাল কারবার চন্দনাইশ খাঁনহাট বাজারে ব্যবসায়ির দোকানে দুর্ধষ চুরি: থানায় অভিযোগ দায়ের বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করবে — শামা ওবায়েদ
  • প্রচ্ছদ
  • শীর্ষ সংবাদ >> সাহিত্য
  • বাস্তব জীবনে গল্প
  • বাস্তব জীবনে গল্প

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    কলমেঃ নাজমুল ইসলাম
    তারিঃ ১৬.০৭.২০২৩

    গত ১৩ তারিখে বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। রাতে প্রচন্ত জ্বর। জ্বরের তাপমাত্রা ছিলো ১০৪ ডিগ্রী মত। সেইদিন কোন রকম রাতটা কাটালাম বিছানায় শুয়ে। তারপরে শুক্রবার সকালে ফোন দিলাম বন্ধু সুমন চন্দ্রকে। বন্ধু সুমন চন্দ্র পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বন্ধু সঙ্গে কথা হলো, আমার শরীরটা খুবই খারাপ ডাক্তার দেখাতে হবে, তুই কি আসতে পারবি ঢাকা মেডিকেল এ তখন বন্ধু সঙ্গে সঙ্গে আসতে রাজি হলো। বাসা থেকে বের হলাম। তার পরে বাসে ওঠে শাহবাগে গেলাম। শাহবাগ নামে তারপরে গেলাম ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে। হাসপাতালে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরে ঢুকে এক ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, জরুরি বিভাগ কি খোলা আছে, উত্তরে বলেন, হ‍‍্যা আছে। পরে এক আনসারে কাছে জরুরি বিভাগের রাস্তাটা দেখিয়ে নিলাম। তারপর দশটা দিয়ে টিকিট কাটলাম। টিকিট কেটে ঢাকা মেডিকেল নতুন ভবনে ৬০২ তলা ভবনে টিকিট মাষ্টার যেতে বললেন। এর মধ্যে বন্ধু সুমন চন্দ্র চলে আসে আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য। পরে দুইজন বন্ধু মিলে আস্তে আস্তে সিড়ি দিয়ে উঠলাম। গেলাম ৬০২ নাম্বার রুমে, ডাক্তারকে টিকিট দেখালাম, টিকিট দেখে দুটি ফরম দিলেন, দেওয়া পর তিনি দুটি ট্রেষ্ট করতে বললেন। পরে ট্রেষ্ট করার জন্য ব্লাড দিলাম। লোকটি দুটি টেষ্টে টাকা নিল ৪৮০ টাকা, আর বলল, দেড় ঘণ্টার পর আসবেন আসে রিপোর্ট নিয়ে যাবেন। আমি বললাম ঠিক আছে। বন্ধু সুমন চন্দ্র বলল, তুই চল আপাতত আমার হোস্টেল, বিশ্রাম নিয়ে পরে আসব। হোস্টেলে আসলাম। রেস্ট করলাম। এর মধ্যেই দেখি রাত আটা বেজে গেছে। বের হলাম। পরে লোকটি ফোন দিয়ে বলে আপনার রিপোর্ট হয়ে গেছে নিয়ে যান। আমি বাসায় যাবো। তাড়াতাড়ি আসুন। বন্ধু সুমনকে নিয়ে হাটতে শুরু করলাম তাৎক্ষণিকভাবে রিকশায় চড়ে দ্রুতগতিতে পৌছালাম হাসপাতালে। দেখলাম লোকটি নাই। আমার ফোনে বেলেন্স নাই। বন্ধু তার বিকাশ থেকে রিচার্জ করে দিল। ফোন দিলাম লোকটিকে ফোন ধরলেন আপনি কই আমি এসেছি। উনি বলল, আপনার বসুন আমি আসছি। পরে কিছুক্ষণ পর আসলেন। আসে রিপোর্ট দেখলাম, রিপোর্টে পজেটিভ আসছে। এই রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তার কাছে গেলাম, ডাক্তারকে সবকিছু খুলে বললাম। তিনি রিপোর্ট দেখে ওষুধ লিখে দিলেন। আর বললেন, তরল খাবার খেতে আর তিনদিন রেস্ট থাকবেন। পানি বেশি বেশি করে খাবেন। বন্ধুকে নিয়ে চলে আসলাম বাইরে। তবে ঢাকা মেডিকেল এ অনেক মানুষ হয়রানিমূলক শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমি নিজেই ভুক্তভোগী। তাই আসুন আশে পাশে সব জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। এডিস মশা থেকে রক্ষা পেতে পারি। আর হ‍্যা রাতে শোয়ার সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমাবেন।

    পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই, প্রকৃত বন্ধু কখনো ছেড়ে যায় না। যার উদাহরণ আমার বন্ধু। সে না থাকলে আমার অনেক সমস্যা হয়ে যেত। ও যেভাবে আমাকে সাহায্য করেছে আমার দেখা ইতিহাসে সবসময় আমার হৃদয়ে থাকবে। মানুষের বন্ধু থাকে অনেকজন। আর কয়জন বা উপকার করে। সত্যিই বন্ধু তোমার ভবিষ্যতে আরো উজ্জল হোক সাফল্যের মণ্ডিত হোক এই প্রত‍্যাশা রইল। ভালো থাকো।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page