১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
তানোরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন মোংলায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কমিটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে বিদেশি পিস্তলসহ ২ জন গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে চোরাই চার্জার ভ্যানের মালামালসহ চোর চক্রের ০৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাংবাদিকের নামে বিজিবি সহকারী পরিচালকের মামলা  রাজশাহীতে হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার রাজশাহীতে গাঁজা, সিগারেট ও নগদ টাকাসহ মা-ছেলে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ  নিষিদ্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ  রাতব্যাপী আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান,ঘোষণা ট্রাম্পের রাতব্যাপী আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান, ঘোষণা ট্রাম্পের
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • সাংবাদিকের নামে বিজিবি সহকারী পরিচালকের মামলা 
  • সাংবাদিকের নামে বিজিবি সহকারী পরিচালকের মামলা 

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মিজানুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি ফরিদপুর >>> বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান সরকারি চাকরি গোপন রেখে ভুয়া অস্থায়ী বর্তমান ঠিকানা দিযে আইনজীবী সমিতির সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে পত্রিকায় প্রকাশ করেন। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান  বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। হাফিজুর রহমান সুমন, পিতা- হাবিবুর রহমান হারুন, মাতা- শাহনাজ রহমান ককিলা,গ্রামঃ সলিথা,ইউনিয়ন ফুলসুতি,থানা- নগরকান্দা, জেলা ফরিদপুর সে এসএসসি পাস করার পর ২০০৩ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবিতে চাকরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে বিজিটিসিএন্ডসি বায়তুল ইজ্জত, চট্টগ্রাম কর্তব্যরত আছেন।তার বিজিডিও নাম্বার- ২৬৮।সরকারি চাকরি গোপন করে ভুয়া বর্তমান ঠিকানা ৮২/৩/এ, মাদারটেক সবুজবাগ ঢাকা ও স্থায়ী ঠিকানা কুঠিবাড়ি, বিডিআর ক্যাম্প,পোস্ট: দিনাজপুর, থানা – দিনাজপুর, জেলাঃ  দিনাজপুর ঠিকানায় গত- ১০/০২/২০১৯ ইং তারিখে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যভুক্ত হন এবং গত- ২৩/১২/২০১৮ ইং তারিখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হইতে সনদ প্রাপ্ত হন।সদস্য নম্বর – ২৪৪৯৮।তার পিতা হাবিবুর রহমান হারুন একজন কথিত মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কারী।তার কোন গেজেট নেই।মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় দেশের কোথাও তার নাম নেই।কোন সম্মানী ভাতা পাইনি। সে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেনি।নিজের নামের সাথে মিল থাকায় বীর বিক্রম হাবিবুর রহমান টাঙ্গাইল এর রেজি নং ১৬৮/৯৮  ভিজিডিং কার্ডে ব্যবহার করে দেশব্যাপী প্রতারণা ব্লাকমেইলিং করার অভিযোগ রয়েছে তার বাবার বিরুদ্ধে। পিতা কথিত মুক্তিযোদ্ধা হলেও বিজিবি সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়া সহ নিজেকে ডবল উকালতি ডবল এম,এ ও ব্যারিস্টার পড়তে লন্ডনে যাবেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করেন।চাকরিতে সুবিধা ভোগ করা সহ নানান তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে  সাংবাদিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।সংবাদ প্রকাশের পর মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ঢাকা পল্টন থানায় ২৫/০৯/২০২২ ইং তারিখে একটি সাধারণ ডাইরি করেন যাহার নাম্বার – ১৮২১। এরই সুত্র ধরে মামলাটি ঢাকা সাইবার ক্রাইমস আদালতে মামলা চলমান। মামলা নাম্বার ২৩/২০২৪। মামলাটি চলমান  অবস্থায় আসামির নথিপত্র পেয়ে যাচাই-বাছাই করার জন্য বিচারক  বিজ্ঞ আদালত বিজিবি সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমানের তথ্য চেয়ে  ঢাকা বার কাউন্সিল,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সদর দপ্তর, ঢাকা আইনজীবী সমিতি বরাবর তথ্য চেয়ে আদেশ প্রধান করেন।গত ০৪/০২/২০২৫ তারিখের বিজ্ঞ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন মোঃ হাফিজুর রহমান পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান গত ২৩/১২/২০১৮ ইং তারিখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।বিজ্ঞ এডভোকেট  এর নথি পর্যালোচনা পূর্বক দেখা যায় যে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির পূর্বেই গত ২০০৩ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর চাকরিতে যোগদান করেন। সদর দপ্তর বিজিবি ক্রোড়পত্র – ‘ক’ ১৬ এপ্রিল ২০২৫ হাফিজুর রহমান এর চাকুরীকালীন অবস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদন আইন পরিদপ্তর ঢাকা থেকে আদালতে প্রেরন করেন।প্রতিবেদনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাইতুল ইজ্জত চট্টগ্রাম ০৭-০৬-২০০৩ সালে  এবং বিজিটিসিএন্ডসি বাইতুল ইজ্জত, চট্টগ্রাম ০৫-০৯-২০২৪ হইতে অদ্যবধি রয়েছে। ঢাকা সাইবার ক্রাইমস বিজ্ঞ আদালত বিজিবি সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান সুমন এর তথ্য পাওয়ার আদেশ  চাইলে  তড়িঘড়ি করে গত ১২/০৩/২০২৫ ইং তারিখে এনরলমেন্ট সনদ সাসপেনশন এর জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আবেদন করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বিজিবি সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান সরকারি চাকরি গোপন রেখে ভুয়া স্হায়ী ঠিকানা দিয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির  সদস্য এবং নিয়মিত তথ্য ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে পত্রিকায় প্রকাশ করা সহ বিভিন্ন তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে একটি সংবাদ প্রেরণ করি এবং পত্রিকায় ছাপা হয়। পিতা ও পুত্রদয়ের অপরাধ অপকর্মের ফিরিস্তি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করায় তার পরিবার একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলছে । হাফিজুর রহমান এর পিতা হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রত্যয়নপত্র হাতিয়ে নিয়ে বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে।সরকারি চাকরি গোপন রেখে আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে পত্রিকায় প্রকাশ করে চাকরিতে সুবিধা ভোগ করায় বিজিবি সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান কে বিচারের আওতায় নিয়ে চাকরি চুত্য করার দাবী সাংবাদিক মহলের।এবিষয়ে  বিজিবি সহকারী পরিচালক (এডি) হাফিজুর রহমান এর ব্যক্তিহত মোবাইল  ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page