১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
ভোলায় ওসি ও এসআইর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ : প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন। নাটোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষকের সোয়া দুই বিঘা জমির ধান ঘাস মারা বিষে পুড়িয়ে নষ্ট উলিপুরে দেবে যাওয়া ব্রিজে ঝুকি নিয়ে চলাচল,দুর্ভোগ চরমে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে আত্মঘাতী হামলায় ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত রাজশাহীতে ধানখেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, ধর্ষণের পর হত্যার সন্দেহ চোরের দশ দিন গৃহস্থের এক দিন   কিশোরগঞ্জে  এমন কৃতকর্মে ২ বালু পাচারকারীর কারাদণ্ড  শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড: ১৭ আনসার সদস্য আহত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাুষিত কোলাগ্রামের রাস্তার বেহাল দশা অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের দাবী এলাকাবাসীর। লোহাগাড়ায় বাসের ধাক্কায় দুই আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছি, ভোগবিলাসের জন্য নয়- শাহজাহান চৌধুরী 
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> খুলনা >> দেশজুড়ে >> যশোর >> শীর্ষ সংবাদ >> সোস্যাল মিডিয়া
  • যশোরে কেশবপর এ বিষধর সাপের কামড়ে বাবলু নামের একজনের মৃত্যু।
  • যশোরে কেশবপর এ বিষধর সাপের কামড়ে বাবলু নামের একজনের মৃত্যু।

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মোঃ আতিয়ার রহমান, উপজেলা প্রতিনিধি মনিরামপুর যশোর

    যশোরের কেশবপুরে সাপের কামড়ে বাবলু সরদার (৩৫) নামে একজন মারা গেছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার কোমরপোল ঋষিপাড়ার মাঠে কলার মোচা কাটতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।নিহত বাবলু সরদার উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কোমরপোল গ্রামের মৃত শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় বকুলতলা বাজারে কলার মোচার চপসহ, ফুচকা, চটপটি ও ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন।
    এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কোমরপোল ঋষিপাড়ার মাঠের একটি ঘের পাড়ের কলাগাছ থেকে বাবলু সরদার মোচা কাটছিলেন। এ সময় তার পায়ে একটি বিষাক্ত সাপে কামড় দেয়। মাঠের পাশের রাস্তায় এসে স্থানীয়দের বিষয়টি বললে তারা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরিবারের লোকজন সাপের বিষ নামাতে ওঝার কাছে নিয়ে যান। ওঝা দীর্ঘ সময় ঝাঁড়ফুক দিয়ে বিষ নামাতে ব্যর্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা না হওয়ায় খুলনা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দীপংকর রায় বলেন, আশংকাজনক অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। সাপে কাটার রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম না থাকায় তাকে যশোর বা খুলনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। শুনেছি অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা গেছেন।উপজেলা নাগরিক সমাজের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ‘শহরের থেকে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের সাপে বেশি কামড়ায়। অথচ সাপে কাটার রোগীর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম থাকে জেলা হাসপাতালে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে যদি অ্যান্টিভেনম রাখা হয়, তাহলে অনেক সাপে কাটা রোগীকে বাঁচানো যেত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন বর্ষা মৌসুমে গ্রামগঞ্জে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।’ এছাড়া তিনি সাপে কাটা রোগীকে ওঝার কাছে না নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই সাপের কামড়ে কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামের কার্তিক চক্রবর্তীর মেয়ে স্কুল ছাত্রী মোহনা চক্রবর্তী মিতু (১২) মারা যায়। রাতে দাদির সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বিষধর সাপে তাকে দংশন করে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page