মো :আল আমিন মালদ্বীপ প্রতিনিধি >>> মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে চাকরির প্রলোভন দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শামীম হোসেন নামের এক ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শামীম হোসেন তার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রবাসীদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে তাদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বর্তমানে মালদ্বীপে লুকিয়ে আছেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশীরা গভীর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, কারণ তারা নিজেরা শিকার হয়েছেন এবং তাদের অর্থ হারিয়েছেন।মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা ও জুয়ার প্রতি আসক্তি:শামীম হোসেনের পিতার নাম আব্দুল খালেক, গ্রাম কানলথুড়ি, কচুয়া চাঁদপুর, পাসপোর্ট নাম্বার EK 0542206 তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং নিয়মিত জুয়া খেলেন। তার এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তার কর্মকাণ্ডে প্রবাসীরা শুধু অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বরং তার মাদক এবং জুয়া খেলার আসক্তি তাদের উপর আরো বেশি বিপদ ডেকে আনতে পারে।মালদ্বীপে অবস্থান এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি:মালদ্বীপের একটি সূত্র জানায়, শামীম হোসেন এখনও মালদ্বীপ ত্যাগ করতে পারেননি, তবে তিনি হুলেমালের কোনো একটি স্থানে লুকিয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তুতি চলছে।সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান:প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য এটি একটি গুরুতর সতর্কবার্তা। শামীম হোসেনের কাছ থেকে সকল প্রবাসীকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। তার সাথে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক লেনদেন বা সম্পর্ক স্থাপন না করার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রবাসীরা যাতে কোনোভাবেই তার প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।সাবধানতার জন্য পরামর্শ:
১. শামীম হোসেনের কাছ থেকে কোন প্রকার লেনদেন বা সম্পর্ক স্থাপন না করা।
২. তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বা কোনো তথ্য থাকলে, তা দ্রুত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং মালদ্বীপ কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো।৩. মাদক এবং জুয়ার মতো অবৈধ কার্যক্রম থেকে নিজেকে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখা।প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য এটি একটি গুরুতর সতর্কতা এবং সকলকে সাবধানে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য