১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
নিখোঁজের ৩ দিন পর পানিতে মিলল বৃদ্ধের লাশ। ভোলায় ওসি ও এসআইর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ : প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন। নাটোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষকের সোয়া দুই বিঘা জমির ধান ঘাস মারা বিষে পুড়িয়ে নষ্ট উলিপুরে দেবে যাওয়া ব্রিজে ঝুকি নিয়ে চলাচল,দুর্ভোগ চরমে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে আত্মঘাতী হামলায় ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত রাজশাহীতে ধানখেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, ধর্ষণের পর হত্যার সন্দেহ চোরের দশ দিন গৃহস্থের এক দিন   কিশোরগঞ্জে  এমন কৃতকর্মে ২ বালু পাচারকারীর কারাদণ্ড  শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড: ১৭ আনসার সদস্য আহত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাুষিত কোলাগ্রামের রাস্তার বেহাল দশা অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের দাবী এলাকাবাসীর। লোহাগাড়ায় বাসের ধাক্কায় দুই আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু

মারতে হবে কেন হিরো আলমকে?

  বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

কলামিস্টঃ সাদেকুল ইসলাম>>

হিরো আলমকে নিয়ে এতদিন কিছু বলিনি কিংবা লিখিনা। কেননা তাকে নিয়ে কিছু লেখার বা বলার প্রয়োজন মনে করিনি।আজ তাকে নিয়ে কিছু লিখতে নিজেকে বাধ্য করতেছি।মোঃ আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম,সমাজে অবহেলিত একজন মানুষ। যিনি ছোটবেলায় খুব কাছে থেকে দেখেছেন কষ্ট আর অবহেলাকে।অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, কষ্ট সহ্য করেছেন তিনি। তবুও নিজেকে নিয়ে হতাশ হননি তিনি, সবসময় নিজেকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। চেষ্টা চালিয়েছেন জীবনে সফলতা লাভ করার। ঝালমুড়ি বিক্রি, সিডির ডিক্স বিক্রি,ডিস লাইনের ব্যবসা,গান,শর্ট ফিল্ম অত:পর আজকের জাতীয় নির্বাচন। এসব কিছুর পেছনে ছিলো তার প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর আপ্রাণ চেষ্টা ও নিজের উপর প্রবল বিশ্বাসবোধ।এই লোকটি কখনো নিজেকে পেছনে তুলে ধরেননি,সব সময় চেষ্টা করেছেন উপরে তুলে ধরতে। পেছনে কে কি বললো তা বিন্দু মাত্র ও কর্ণপাত করেননি।মানুষ তাকে নিয়ে হাসি,তামাসা, ঠাট্টা করে সেটাও তিনি কর্ণপাত করেন নি।বরং নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন নতুনত্বের গতিধারায়। একের পর এক নিয়ে এসেছেন গান,কবিতা ও অভিনয়। তিনি সকলের হাসি তামাশার পাত্র হলেও আজ অব্দি কোনোরকম নারী কেলেংকারীর খাতায় নাম উঠেনি তার (যেখানে বাংলাদেশের অনেক উচ্চ মহলের কর্মকর্তারা নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িত)।এবার আসুন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলি।বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক দেশ।এদেশে রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে সকল নাগরিকের। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অসংখ্য গ্রহণ করতে পারে যে কেউ।(দার্শনিক এরিস্টটল বলেছেন গনতন্ত্র হলো মূর্খের শাসন) হিরো আলম তার নিজ আসন(বগুড়া)থেকে গত জাতীয় নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েন নি,থেমে থাকেন নি কোনো বাধায়। আবারো বগুড়া থেকে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের মন জয় করেছিলেন,যদিও নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেন নি।এবার ঢাকার ১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।তাকে অযোগ্য, মূর্খ বলে যদি জয়ী হতে দেয়া না হয়,সে সংসদে আসলে যদি সংসদের অবমাননা হয় তাহলে হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন তাকে নির্বাচন করার অনুমোদন দিলো কেন?????সকলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার রয়েছে তাই নির্বাচন কমিশন তাকে অনুমতি দিয়েছেন।তাহলে একজন প্রার্থীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা দিবেনা কেন???কেন তাকে ভোট কেন্দ্রে মারধর করা হবে??আজ হিরো আলম নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে বলে সে মাইর খাবে, তাহলে কাল আমি,আপনি আমরা দাঁড়ালে আমরাও খাবো!!!এর প্রতিকার কি নাই দেশে?????ধিক্কার জানাই বাংলাদেশের ঐসব রাজনৈতিক দলের উপর যে দলের নেতা কর্মীরা নিজেদের ক্ষমতা লাভের আশায় অন্যায় ভাবে অন্যের উপর চরাও হয়।ধিক্কার জানাই ঐসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর,যারা দায়িত্ব পেয়েও সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করেনা।হিরো আলমের উপর হামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page