আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কালামের জমি দখল বাণিজ্য অব্যাহত” শিরোনামে ১৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে দৈনিক সকালের কাগজে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার।
লিখিত প্রতিবাদে তিনি জানান, সংবাদে উত্থাপিত অভিযোগ বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে প্রণোদিত। যে জমি দখলের কথা বলা হয়েছে, তা দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের দলিলগত বিরোধ; এ ঘটনায় তিনি মোটেও জড়িত নন এবং কোনো পর্যায়েই উপস্থিত ছিলেন না। সালিশে প্রভাব খাটানো, মামলা দেওয়ার নির্দেশ- এসব অভিযোগও সম্পূর্ণ অসত্য।
তিনি বলেন, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং উক্ত সংবাদ সেই অপপ্রচারের অংশ। তিনি গণমাধ্যমকে বিভ্রান্তিকর তথ্য সংশোধন করে যথাযথ প্রতিবাদ প্রকাশের আহবান করেন এবং ভবিষ্যতে এমন সংবাদ প্রকাশ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
ঘটনার প্রকৃত বিবরণঃ
গত ১৭ নভেম্বর/২৫ আনুমানিক সকাল ৮টায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মরহুম ফজলু চেয়ারম্যান এর আপন ছোট ভাই বাবুল মিয়া ও মাইদুল-সুরুজ্জামালের নেতৃত্বে প্রায় ৬০-৭০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দেশিও অস্ত্র সজ্জিত হয়ে জমি দখল ও প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের বীর বারুইটারী নিবাসী মৃত গুই মামুন এর পুত্র ভোলা শেখ এর পৈত্তিক সম্পত্তি ও বসতভিটায় হামলা চালায় এবং তিনটি ঘর ভেঙে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। সুপারী বাগানের প্রায় দুই শতাধিক সুপারী গাছ কর্তন করে ও ৪ বিঘা জমির আধাপাকা আমন ধান কেটে নষ্ট করে এবং বাড়ির মা-বোনদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। হামলায় ভোলা শেখসহ তার পরিবারের সবাইকে প্রহার ও অস্ত্র দ্বারা আহত করা হয়। গুরুতর আহত ভোলা শেখের বোন ছাকনা (৬০), ভাবি মমেনা (৫৮) ও মেয়ে স্বপ্না (৩৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।











মন্তব্য