পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি >>> কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বিদ্যুতের তারের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ৭টি বসতবাড়ি।শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের পশ্চিমকূল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় পশ্চিমকূল এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের বাড়িতে বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন লেলিহান শিকা ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া আগুনে পার্শ্ববর্তী ছরওয়ার, নাছির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আবদুল মজিদ, নুরুল আজিম, গোলাম মোস্তফা ও মাশুকা বেগম ওরফে বুড়ির বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করেন। পরে পেকুয়ার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।স্থানীয় ইউপির সদস্য নুর মুহাম্মদ বলেন, সবাই জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে ছিল। হঠাৎ আগুন লাগার খবর শুনে লোকজন মসজিদ থেকে এসে আগুন নিভায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই অসহায়। সকলেই দিনমজুর। আগুনে একই পরিবারের তিন ভাই ভাই ও এক বোনের ঘর পুড়ে গেছে। তাঁরা এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করেছি।আগুনে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে বিকেলে পেকুয়ার সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুর পেয়ারা বেগম, মগনামা ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক, প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম, ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ, ছরওয়ার আলম ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরন করা হয়।খবর পেয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক তরুণনেতা নুরুল ইসলাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।পেকুয়ার সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুর পেয়ারা বেগম বলেন, বিকেলে আগুন লাগার স্থান পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে তাৎক্ষণিক শুকনো খাবার ও কম্বল দিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য