কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ।
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ঘিরে ভুরুঙ্গামারীর আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক জাগরণ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শতাধিক নেতাকর্মী ও তরুণের সরব অংশগ্রহণে আয়োজিত হয় এক ব্যতিক্রমী প্রচারণা কর্মসূচি।ইউনিয়নের হাট-বাজার, মোড় এবং জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় লিফলেট বিতরণ এবং সরাসরি জনসংযোগের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা তুলে ধরেন বিএনপির ৩১ দফার মূল দর্শন ও উদ্দেশ্য।এই কর্মসূচির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তরুণদের সক্রিয়তা। অনেকে দীর্ঘদিন পরে রাজনীতির মাঠে ফিরে এসে বলছেন, এই ৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক দলীয় ইশতেহার নয়- এটি ভবিষ্যতের পথনির্দেশনা।স্থানীয় এক তরুণ বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেছে ৩১ দফা। তাই এই আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়- এটা আমাদের সবার।কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. আজিজুল হক, ভুরুঙ্গামারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম শান্ত, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিমুল হক সরকার রাজু, শাহাদৎ হোসেন সোহাগসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা।আন্ধারিঝাড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামিউল আলম খোকা, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সহ ছাত্রদল, কৃষক দল ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।নেতারা বলেন, এটি কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়- এ এক রাষ্ট্র সংস্কারের ডাক। বিএনপির ৩১ দফা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা।স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের তৃণমূলমুখী কর্মসূচি শুধু রাজনৈতিক সচেতনতা নয়, বরং ভবিষ্যৎ মেরুকরণেও বড় ভূমিকা রাখছে। তরুণদের সরব উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ রাজনীতিকে নিয়ে যাচ্ছে নতুন মাত্রায়।ভুরুঙ্গামারীতে বিএনপির ৩১ দফা প্রচারণা যেন তৃণমূল রাজনীতিতে নতুন এক জোয়ারের সূচনা করেছে। তরুণদের মধ্যে আশার সঞ্চার এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করছে- বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রত্যাশার রাজনীতিতে ফিরতে চায়।
মন্তব্য