সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি>>> রাজশাহীর তানোরে অভিনব কায়দায় গ্রামীণ ব্যাংক গাছ বানিজ্য করছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন।গ্রাহককে ঋন দিয়ে সেখান থেকে ১০০ টাকা কর্তন করে গাছ কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে গাছ বানিজ্যের ঘটনাটি।গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তার এমন কান্ডে গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন।এতে করে অসহায় গরীব দুঃখী গ্রাহকরা চরম বিব্রত প্রকাশ করেন।তানোর পৌর সদর এলাকার এক গ্রাহক জানান,গাছ না কিনলে ঋন দিবে না,আমি ঋন নিচ্ছি প্রয়োজনের তাগিদে।আর তারা সুযোগ বুঝে গাছ বিক্রি শুরু করেছেন।গাছ কিনতেই হবে।এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে গ্রামীণ ব্যাংক তানোর শাখায় গিয়ে দেখা যায়,বাহিরে গাছ নিয়ে দাড়িয়ে আছেন কয়েকজন গ্রাহক।আরেকজন গাছ নিবেনা এজন্য ভ্যানে বসে আছেন। তিনি জানান,গাছ নেয়া হশনি এজন্য আমাকে এখনো ঋণ দেয়নি।ঋণ নিলে গাছ কিনতেই হবে।যে সব গাছ গ্রামীণ ব্যাংক বিক্রি করছে সেগুলো কোন জাতের না।অল্প দামে কিনে এনে ৫০ টাকা পিচ বিক্রি করছেন।৫০ টাকা সঞ্চয়ের বকেয়া থাকলে ঋণ দেয়না,তাহলে গাছ কেন কিনতে হবে।ব্যাংকের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়,ম্যানেজার রেজাউল করিম ঘরের পশ্চিম দিকে বসে আছেন।সেখান থেকে যার নামে ঋন লিখছেন তাকে গাছ কিনার জন্য সাদা কাগজে লিখে দিচ্ছেন। ওই কাগজ দেখিয়ে যারা গাছ কিনছেন তাদেরকে আগে ঋন দেয়া হচ্ছে।আর যারা নিতে চাচ্ছে না তাদেরকে ঋন দিচ্ছেনা। দুজন মাঠ কর্মী ১০০ টাকা করে নিয়ে একটি আম ও একটি মেহগনি গাছ দিচ্ছেন।গ্রামীণ ব্যাংক তানোর শাখার ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান,জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারনে দেশে ব্যাপক তাপমাত্রা শুরু হয়েছে।এজন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বৃক্ষ রোপনের শুভ উদ্ধোধন করে গাছ লাগানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।সে মোতাবেক গ্রাহকদের মাঝে গাছ বিক্রি করা হচ্ছে।গাছ না কিনলে কোনভাবেই ঋন দিচ্ছেনা জানতে চাইলে তিনি জানান,বাধ্য করা হচ্ছেনা।গাছ না কিনলে ঋনও দিচ্ছেনা কেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।এরিয়া ম্যানেজার শুভংকার বলেন,আমরা গাছ রোপনের জন্য গ্রাহকদের পরামর্শ দিতে বলেছি,গাছ বিক্রির কথা বলা নাই।খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য