আনোয়ারুল আজিমঃচাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি>>> নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার দশঘরিয়া বাজার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।আগুনে ওই বাজারের ৩২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এতে দোকানগুলোতে থাকা মূল্যবান মালামাল ও নগদ অর্থ পুড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।আগুনে পুড়েছে গ্যারেজে থাকা ২২টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ২টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা।মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে দশঘরিয়া দক্ষিণ বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে চাটখিল ও রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সকালে দক্ষিণ বাজারের পাটিঘর এলাকার একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।মুহুর্ত্বের মধ্যে আগুন দ্রুত চারদিকের দোকানে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।আগুনে মুদি, কসমেটিকস,মনোহারী,কয়েকটি গোডাউন,হকারদের গোডাউন, ভ্যারাইটিজ ও একটি গ্যারেজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে চাটখিল ও রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।তবে এর আগে ৩২টি দোকান,২২টি অটোরিকশা ও ২টি সিএনজি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।চাটখিল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা চাটখিল ও রামগঞ্জের দুটো ইউনিট একসাথে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি আমাদের প্রাথমিক ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ২৭টি দোকানের তালিকা তৈরি করেছি। তদন্ত শেষে ক্ষতির পরিমান জানা যাবে।চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমান ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট পরিদর্শন করেছেন।যে পরিবারগুলো আগুনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের খোঁজখবর নিয়েছি।আমরা সরকারি সহায়তা ছাড়াও স্থানীয় বিত্তবানদেরকেও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
মন্তব্য