এনামুল হক রাশেদী,চট্টগ্রাম >>> চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) নির্বাচন ঘিরে চলমান অচলাবস্থা অবশেষে কাটলো। আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের এক আদেশে বলা হয়েছে, চেম্বারের নির্বাচনে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ শ্রেণির ছয়জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিয়ে এক ব্যবসায়ীর করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।চট্টগ্রাম চেম্বারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ শ্রেণিতে ১২ জন, সহযোগী শ্রেণিতে ৬ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে ৩ জন করে পরিচালক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। পরিচালকদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন সভাপতি ও দুই সহসভাপতি। চলতি নির্বাচনে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপের তিনজন করে মোট ছয়জন পরিচালক হওয়ার পথে ছিলেন। কিন্তু একটি পক্ষ দুই শ্রেণিকে ‘পকেট ভোট’ দাবি করে তাদের বাদ দেওয়ার দাবি তোলে।চেম্বার সূত্রে জানা যায়, তিনটি টাউন অ্যাসোসিয়েশন হলো—বোয়ালখালী, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। অন্যদিকে তিনটি ট্রেড গ্রুপ হলো—চট্টগ্রাম টায়ার টিউব ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস গ্রুপ, চিটাগাং ডাইজ অ্যান্ড কেমিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস গ্রুপ এবং চিটাগাং মিল্ক ফুড ইমপোর্টার্স গ্রুপ। গত ৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ম অনুযায়ী সদস্যপদ নবায়নকৃত এসব সংগঠনের প্রতিনিধিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়।এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বেলাল প্রথমে এফবিসিসিআইয়ের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন এবং পরে হাইকোর্টে রিট করেন। ২২ অক্টোবর রিট শুনানি শেষে আদালত দুই শ্রেণিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার জন্য রুল জারি করেন এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। পরে মন্ত্রণালয় আপিলে গেলে ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট নির্বাচন দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেয়।আজকের আদেশে আগের রুলটি বাতিল হওয়ায় স্থগিতাদেশও উঠে গেছে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা খান। ফলে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপের প্রতিনিধিদের নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা নেই।উল্লেখ্য, শেষবার চট্টগ্রাম চেম্বারে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর সব কমিটি গঠিত হয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। নতুন নির্বাচনের তারিখ জানতে চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।











মন্তব্য