আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম মহানগরের শাহ আমানত সেতু এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের ওপর চড়াও হয় এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।সরেজমিনে দেখা মিলে,আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে কোনো যানবাহন ঢাকা থেকে বের হতে পারছে না এবং ঢুকতেও পারছে না। এমনকি রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেলও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অনেক মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।জন চলাচল গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে বাধ্য হয়ে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। (১৮ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম শাহআমানত সেতু এলাকায় জড়ো হয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা।এর আগে বুধবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার সদর থেকে থেকে বের হয়।বিক্ষোভ কারিরা কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দোহাজারী পৌর-সদরের প্রধান প্রধান সড়ক ও দেওয়ানহাট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দোহাজারী জামিজুরী আ. রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মিলিত হয়।মিছিল চলাকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় আধ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস.এম.শফিউল্লাহ ভোরের ডাক প্রতিবেদককে মেট্রো ফোনে বলেন। কোটা আন্দোলন শুরু থেকে এই পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর কোন হামলা করেনি।বর্তমানে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে জান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষের জানমাল নিরাপত্তায় আমাদের সকল থানার পুলিশ সতর্ক রয়েছে যেকোনো পরিস্থিতি আপত্তিকর ঘটনা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে।বাকুলিয়া থানার শাহ আমানত সেতুর পাশে বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।পরে বাকলিয়া থানার ওসিকে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।তবে বাকলিয়া থানা ডিউটি অফিসার কে দুপুর সাড়ে বারোটায় ফোন করা হলে তিনি জানান,ওসি স্যার সহ সকল অফিসার ঘটনাস্থলে তবে ওয়ারলেস এর মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বাকিটা স্যারেরা আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা সড়কের দুই পাশ অবরোধ করে রাখে। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ ও কোটাবিরোধীকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের নতুন ব্রিজ থেকে তাড়িয়ে রাহাত্তপুলের দিকে নিয়ে যায়।
মন্তব্য