কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
মাত্র ১২ বছরের এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে চলছিল বাল্যবিয়ের আয়োজন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে হাজির হন কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা। তার হস্তক্ষেপে থেমে যায় জীবনবিধ্বংসী এ আয়োজন।ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতের আঁধারে, উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের সাতপাই গ্রামে। জানা গেছে, নিতাই ইউনিয়নের পানিয়াল পুকুর গুয়া পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে কিশোর লিমন ইসলামকে পাত্র সাজানো হয়। কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়স গোপন করতে ছাত্রীর দুলাভাই ইব্রাহিম হোসেন নাহিদ অভিনয় করতে যান ‘প্রাপ্তবয়স্ক বর’-এর চরিত্রে।এ তুঘলকি কাণ্ড টের পেয়ে ইউএনও প্রীতম সাহা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি প্রকৃত কিশোর বরের কাছ থেকে ২০ হাজার এবং ভুয়া বর দুলাভাইয়ের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।এছাড়া মুচলেকা নেওয়া হয়েছে—ছাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত আর কোনোভাবে তার বিয়ের আয়োজন করা যাবে না।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতম সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “শিশুবিয়ে শুধু অপরাধ নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের একটি বড় হাতিয়ার। প্রশাসন এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সর্বদা কঠোর অবস্থানে থাকবে।
মন্তব্য