সংবাদদাতা নাগেশ্বরী,কুড়িগ্রাম।।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির নবঘোষিত আহ্বায়ক কমিটিকে ঘিরে দানা বেঁধেছে তীব্র ক্ষোভ। স্থানীয় নেতাকর্মীরা যেন দম আটকে রাখা ঝড়ের মতো রাস্তায় নেমে এসেছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটায় ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক জুড়ে প্রতিবাদী শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বাতাস। বিক্ষোভ মিছিলের পর অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত রোববার (২৪ আগস্ট) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রসুল রাজা ও সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান স্বাক্ষর করেন কালীগঞ্জ ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন । অথচ ঘোষণার দুদিনও গড়াল না, ত্যাগী কর্মীদের ক্ষোভ ফেটে পড়ল দাবানলের মতো- কমিটি বাতিল চাই। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্বজনপ্রীতির দিকে। তাঁদের ভাষ্য, নবগঠিত কমিটিতে স্পষ্ট হয়েছে আত্মীয়কেন্দ্রিকতার ছাপ। ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মহির উদ্দিনকে রাখা হয়েছে কেবল সাধারণ সদস্য পদে, অথচ তাঁরই ছেলে প্রভাষক বুলবুলকে বসানো হয়েছে যুগ্ম আহ্বায়কের পদে । এই ঘটনাকে নেতাকর্মীরা দেখছেন ত্যাগী ও মাঠের সৈনিকদের প্রতি নির্মম অবমূল্যায়ন হিসেবে। প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, বিএনপির আন্দোলন ও দুর্দিনে যারা মাঠে ছিলেন, তাঁদের মূল্যায়ন না করে সুবিধাভোগীদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ত্যাগীরা হয়েছেন বঞ্চিত, আর স্বজনরা পেয়েছেন মর্যাদা।নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরও জানান, বিএনপির দুর্দিনে যারা সংগ্রাম করেছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের পদে বসানো হলে আন্দোলনপ্রিয় কর্মীদের মনে ক্ষোভ জাগ্রত হবেই। দ্রুত কমিটি বাতিল না করা হলে বাধ্য হয়ে কঠোর কর্মসূচিতে নামতে হবে। এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম প্রধান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহজামাল ব্যাপারী, সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ হাসেম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক নুর জামালসহ অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী।এবিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ বলেন,
যেহেতু কমিটি নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপি করেছে, তবে কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে জানাতে পারে আমরা তা সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য