২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • দেশজুড়ে
  • সামছেল মোল্লা হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
  • সামছেল মোল্লা হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    এস এম আলমগীর হোসেন, সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ>>>

    ভাঙ্গায় সামছেল মোল্লা হত্যার বিচার ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। আজ দুপুরে ভাঙ্গা-সদরপুর সড়কের মানিকদহ বাজারে এ মানববন্ধন করেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে নিহতের বৃদ্ধ মা সাফিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে আসামিরা হত্যা করেছে। সে জমি বিক্রির সাড়ে ৩ লাখ টাকা আনতে পুখুরিয়া বাসষ্ট্যান্ডে গেলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন স্থানীয় ফরিদ শেখ, সজল তালুকদার, জাহিদ ব্যাপারী, পাবেল মীর, আকতার মীরসহ ২০/৩০ জন। পরে তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে তার ছেলের কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় আসামীরা । প্রকৃত ঘটনার তদন্তসহ একটি সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নিহত সামছেল মোল্লার ১ম স্ত্রী ঝর্না বেগম বলেন, আমার ৪টি সন্তানকে যাহারা এতিম করেছে, তাদের ফাঁসি চাই। আমি প্রথমে ভাঙ্গা থানায় মামলা করতে যাই, কিন্তু অভিযোগপত্রে দোষী কয়েকজনের নাম বাদ না দেওয়ায় পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। পরে আমি ফরিদপুর কোর্টে গিয়ে ১৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। মামলা নম্বর ভাঙ্গা সিআর ১৮৩/২৩। তারিখ ২৫/৪/২০২৩। ২য় স্ত্রী বেবী বেগম বলেন, আমার ১ বছরের ১টি সন্তান রয়েছে। এই শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ কি হবে, সে আজ বাবা হারা হয়েছে। তার বাবার মৃত্যুর জন্য যারা দোষী, আমি তাদের ফাঁসি দাবি করছি। সামছেলের হত্যা মামলার বাদি ভাঙ্গা থানার এসআই অপূর্ব কুমার জানায়, সামছেলের মা ও ২ জন স্ত্রী থাকার কারনে তখন ৩ জনই বাদি হতে চায়। তাই তাদের পরিবারিক সমস্যার কারনে পরে, আমি (পুলিশ) গত ২২ এপ্রিল বাদি হয়ে ১০০/১২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করি। ভাঙ্গা থানা মামলা নং ৪০, তারিখ ২২/৪/২৩। পরে জানতে পারি, নিহতের পরিবার আদালতে আরেকটি মামলা করেছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু জজ আদালতের পিপি দুলাল চন্দ্র সরকার জানান, একই হত্যার ঘটনার ২টি মামলা হলে ২টি তদন্ত হবে। কিন্তু জটিলতা ও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যখন আলাদা আলাদা তদন্ত রিপোর্ট আসবে। পরে ২টি মামলা এক সাথে চালাবে আদালত। উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত (১৬ এপ্রিল) রাতে ভাঙ্গা উপজেলার পুখুরিয়া বাসষ্ট্যান্ডে ছেলে ধরা সন্দেহে সামছেলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক সপ্তাহ পর পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০০/১২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । একই ঘটনায় ১১ দিন পর নিহতের স্ত্রী ঝর্না বেগম বাদি হয়ে ফরিদপুর আদালতে ১৭ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page