সুুনামগঞ্জ প্রতিনিধি>>> সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউপির চাকুয়া গ্রামে প্রয়াত গৌরাঙ্গ দাসের বীর নিবাসের তালা ভেঙে ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গত ১১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে এমন ঘটনা ঘটে।বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌরাঙ্গ দাসের ছেলে প্রীতম দাস বলেন দুর্বৃত্তরা আমার বাবার বীর নিবাসের সামনের ও পেছনের দরজার তালা ভেঙে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।বাড়িটি নির্জন স্থানে হওয়ায় কেউ তা টেরও পায়নি।১২ তারিখ প্রতিবেশি অমরচাঁদ দাশ সকালে দেখেন ঘরের তালা ভাঙা।পরে তিনি প্রীতম দাশের স্ত্রীকে বিষয়টি জানান।এবিষয়ে প্রীতম দাস মুঠোফোনে বলেন, সরকারের পালা বদলের পরপরই আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় দুষ্কৃতকারীরা।আমি আতঙ্কিত হয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অন্যত্র চলে আসি।এরপর থেকে আমি পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে হচ্ছে।কোনো পালিয়ে থাকছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা।তিনি শাল্লা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দুইবারের নির্বাচিত কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।আমি নিজও একজন গণমাধ্যম কর্মী।পাশাপাশি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের শাল্লা উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদকও।ফাঁকা নির্জন বাড়িতে আমরা না থাকায় লুটপাট করে সব নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।প্রায় লাখ টাকার মত ঘরে থাকা মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।এবিষয়ে পূজা উদযাপন পরিষদ শাল্লা শাখার সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন,ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। আমরা সবাই এখন এক অজানা আতঙ্কের মধ্যে আছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতন,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট,হামলা,বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও মন্দিরে ভাঙচুরকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।
মন্তব্য