জেলা প্রতিনিধি নড়াইল>>> নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা কার্যসহকারী মোঃ কবির হোসেন পৌরসভার স্বঘোষিত ইন্জিনিয়ার।তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,কবির হোসেন পৌরসভার কচুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।তিনি ২০০৩ সালে লোহাগড়া পৌরসভায় চাকুরী পান।সেই থেকে আস্তেধীরে বেপরোয়া হয়ে ওঠে লোহাগড়া পৌরসভার কার্যসহকারি কবির।বর্তমানে ওই কার্যসহকারি কবির হয়ে উঠেছে পৌরসভার স্বঘোষিত ইন্জিনিয়ার।বিভিন্ন স্থানে কবির নিজেকে ইন্জিনিয়ার বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।পৌরবাসী নতুন বাড়ি করার জন্য বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে বাড়ির নকসা জমা দিলে তাদের ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ওই কবিরের কাছে।ভুক্তভোগী একাধিক প্রবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,কবির নিজেকে পৌরসভার ইন্জিনিয়ার দাবি করে আমাকে কর্কশ ভাষায় বলেন,আপনারা কেন অন্য জায়গায় যান।আমি ইঞ্জিনিয়ার আমার কাছে আসবেন সরাসরি। আমি আপনাদের নকশা সহ সবকিছু করে দিব।এরপর আমি অন্যমাধ্যমে কবিরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে বাড়ির নকশা পাস করি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যাক্তির নিকট থেকে ৪৭ হাজার নিয়ে দীর্ঘদিন ঘুরালে সাংবাদিকদের নিয়ে মেয়র নিকট গেলে পরে সেই রাস্তাটি অনুমোদন দেন।এ ঘটনায় রোববার (২৮ এপ্রিল) সাংবাদিকরা লোহাগড়া পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ারে কবিরকে বসা দেখে তার পদবী জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি অফিসের কার্যসহকারি পদে কর্মরত।এ সময় সাংবাদিকরা তাকে ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ারে বসা দেখে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলবোনা আপনারা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা না বলে আপনাদের কোন বক্তব্য দিতে পারবোনা বলে সাফ জানিয়ে দেন।তাছাড়া কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বিহীন একটি লিখিত কাগজ দেখান। এরপর তিনি দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন।ইতিপূর্বে ওই বেপরোয়া কার্য সহকারী কবির পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার রতনকে মারধর করেছিল যা সাংবাদিকদের দৃষ্টিগোচর হয়েছিল।এঘটনায় গত ২০ মার্চ তারিখে পৌরসভা কতৃপক্ষ কথিত ইন্জিনিয়ার কবিরকে নোটিশ জারি করেন।এ ঘটনাই লোহাগড়া পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমার রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,আমি বর্তমান ঢাকায় প্রশিক্ষনে আছি,এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না।লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মশিউর রহমানের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি বলেন, আপনারা লিখিত দেন আমি বিষয়টি দেখব।
মন্তব্য