জেলা প্রতিনিধি ( নড়াইল)>>> নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অত্র বিদ্যালয়ের ৪ র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দূর্নীতি সংবাদ পেয়ে সংবাদিকরা ঘটনা স্থলে পৌছালে নিয়োগ কর্তারা সাংবাদিকদের কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে সুকৌশলে বিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করেন।শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়।এই নিয়োগ পরীক্ষায় ৩ টি পদে ১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন।পরীক্ষা শেষে নিয়োগ কর্তা নড়াইল জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ভুমি ( লোহাগড়া) আফরিন জাহান,ও লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভুইয়া,ও ডিজির প্রতিনিধি লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামানের নিকট নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোন প্রকার তথ্য বা বক্তব্য সাংবাদিকদের দেন নাই।নির্বাচিত প্রার্থীদের ফলাফল জানতে চাইলে ফলাফল ঘোষণা না করে নানা রকম তালবাহানা করে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য না দিয়ে দ্রুত ওই বিদ্যালয় এলাকা ত্যাগকরেন ওই ৩ নিয়োগ কর্তা।পরবর্তীতে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি খান নাসির উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক বাবু নির্মল কুন্ডুর কাছে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে তাহারা নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দিতে অস্বীকার করেন। তাছাড়াও সাংবাদিকরা সেখানে থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ফলাফল দেন নাই।উল্লেখ্য যে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ নাসির খান নিয়োগ বানিজ্য করার জন্য ইতোপূর্বে ৩ বার নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন।এঘটনায় এলাকায় জনগনের তোপের মুখে পড়ে তখন নিয়োগ বাতিল হয় এবং তৎকালীন এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল।তাছাড়া এই নিয়োগ কে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।আদালত থেকে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট সকলকে কারনদর্শানো নোটিশ জারি করলে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক কারনদর্শানো নোটিশের জবাব দেন বাকি অন্যরা আদালতে কোন জবাব প্রদান করেন নাই।সে কারনেই আদালতের আদেশ অমান্য করে আদালতকে বৃদ্ধা আংগুলি দেখিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করেছে ওই নিয়োগ কমিটি।তাহলেকি নিয়োগ কর্তা সকলেই আদালতের থেকে ক্ষমতাসীন? তা৷ না হলে কিভাবে ওই নিয়োগকর্তারা আদালতকে বৃদ্ধা আংগুল দেখিয়ে এই নিয়োগ দিলেন? তাছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভুইয়া নিয়োগের কথা শুনলে উনি মরিয়া হয়ে উঠেন নিয়োগ দেওয়া জন্য।সুত্রে জানা গেছে ওই বিদ্যালয়ে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন সভাপতির আপন খালাতো ভাইয়ের ছেলে মিরাজুল ইসলাম, সভাপতির শালা রাজিবুল ইসলাম,ও তার দলের মাসুম শেখের কন্যা ইসমাত আরা।নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বর্তমান নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্যরা বলেন,এই নিয়োগটি সম্পূর্ণ ভাবে বর্তমান সভাপতি নাসির খানের আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া হয়েছে। আমরা এ নিয়োগে কোন স্বচ্ছতা পায়নি।আমরা এ নিয়োগ মানি না এবং এ নিয়োগের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিব।আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু নির্মল কুন্ডুর নিকট নিয়োগ সংক্রান্ত বক্তব্য চাইলে তিনি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি এড়িয়ে যান।মাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ নাসির খানের নিকট নিয়োগ সংক্রান্ত বক্তব্য চাইলে তিনিও এড়িয়ে যান এবং সাংবাদিকদের উপর তেড়ে আসেন।ডিজির প্রতিনিধি লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান সাংবাদিকদের বক্তব্য না দিয়ে দ্রুত এসিল্যান্ডের গাড়িতে উঠে এলাকা ত্যাগ করেন।লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ ভুইয়া নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।এবিষয়ে লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুর মোহাম্মদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে তিনি বলেন ভাইবা বোর্ডের ওখানে আমি গিয়েছিলাম সেখানে ভাইবা স্বচ্ছ দেখেছি,কিন্তু এই নিয়োগে ২ বছর আগে থেকে যে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে শুনেছি আজ তার বাস্তবতায় দেখলাম।এখন আমার প্রশ্ন নিয়োগ তাহলে স্বচ্ছ হলো কি করে।এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে নানা প্রশ্ন!!লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভুমি) আফরিন জাহানের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি সাংবাদিকদের প্রথমে আস্বস্ত করেন কিন্তু পরবর্তীতে বক্তব্য না দিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন।এই নিয়োগ সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের সহিংসতা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরদার রইচ উদ্দিন টিপু
নড়াইল
০১৯২১২৫০১২০
মন্তব্য