জেলা প্রতিনিধি (নড়াইল)>>>>
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউপির চাপুলিয়া গ্রামের পূর্ব পাড়ায় জামে মসজিদে রং করা কে কেন্দ্র করে সরদার ও বিশ্বাস বংশের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় সরদার বংশের লোকজন জোর করে সীমানা প্রাচীর মাঝে আরেকটি নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন যার দুরত্ব আনুমানিক ৫ গজ। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোড়পাড় ও উত্তেজনার সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে ।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চাপুলিয়া গ্রামের মজিবর রহমান বিশ্বাস ২০ বছর পূর্বে পূর্ব পাড়া জামে মসজিদে নামে ০৩ শতক জমি দলিল মারফতে দান করলে গ্রামবাসীর অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণ করেন। পাশাপাশি সরদার বংশের লোকজন ওই মসজিদের সাথে দুই শতক জমি মৌখিক ভাবে মসজিদে দান করেন। পরে এলাকাবাসী মিলে ০৫ শতক জমিতে মসজিদের সীমানা প্রাচীর ও মসজিদ নির্মাণ করেন।সস্প্রতি ৩১ মে বুধবার সরজমিনে গেলে সরদার বংশের ইয়ার আলী সরদার, ইলিয়াছ সরদার সহ কয়েক জন বলেন, মসজিদ রং করাকে কে›ন্দ্র করে বিবাদের সৃষ্টি হওয়ায় একই স্থানে মসজিদ নির্মাণ করেছি তবে নির্মিত নতুন মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়া হয় না, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয়। আমার বংশের লোকজন পুরাতন মসজিদ সীমানা প্রাচীর মাঝে নতুন মসজিদ নির্মাণ করেছে।অপরদিকে বিশ্বাস বংশের মাতুবর মিরাজুল বিশ্বাস ও সরদার বংশের আফছার সরদার সহ ৪/৫ জন মিলে গ্রামের মাতুব্বরদের ঘটনাটি মিমাংসার জন্য বলেন তারা সরদার বংশের মাতুব্বর আবু সরদারের নিকট মিমাংসা প্রস্তাব দিলে তিনি কর্নপাত না করে ওই স্থানে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। মিরাজুল বিশ্বাস বলেন,এঘটনাটি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত আছেন। এঘটনায় কোটাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হাসান আল মাহমুদ জানান আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে কয়েকবার বসেছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেছি শীঘ্রই সমাধান হবে বলে আশা করছি।লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী বলেন আমি ঘটনা জানি এই নিয়ে উভয় পক্ষ মিমাংসা করে জানানোর কথা। তবে আমি শীঘ্রই তাদের নিয়ে বসে সমাধান করবো।
মন্তব্য