জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল>>>
নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রাম পুলিশকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।গত ২৮ মে রাতে উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের পূর্ব পাড়ার মৃত বদির শেখের ছেলে বকুল শেখ নামে গ্রাম পুলিশ সন্ত্রাসীদের হাতে নিসংস ভাবে খুন হয়। তিনি দিঘোলিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ( কুমড়ী গ্রামের) গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় ৩০ মে নিহতের ছেলে রমজান শেখ বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।ঘটনার রাতেই নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে জেলার একাধিক পুলিশ টিমকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। মামলার পর এজাহার নামীয় ২ নং আসামী রুবেল শেখকে (৩৪) আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে ১লা জুন দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসামী আজমল কটা ওরফে জাহিদ কটাকে (৩২) গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। আজমল কটার তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছোরা উদ্ধার করেন লোহাগড়া থানা পুলিশ।উল্লেখ্য,খুনি আজমল কটার নামে নড়াইল,লোহাগড়া ও নড়াগাতি থানায় একাধিক চুরি, দস্যুতা ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক নড়াইলের আমাতুল মোর্শেদের আদালতে বকুল হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন বলে শনিবার (৩ জুন) সকাল ১১ টায় প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানান নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন।জানা যায়, গ্রাম পুলিশ বকুল শেখ ও আসামিদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে নারী ঘটিত, জমিজমা ও আসামী গ্রেফতারে পুলিশকে সহায়তা করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ২৮ মে রাতে এলাকার মতিয়ারের চায়ের দোকান থেকে ফেরার পথে গোলাপ খাঁর মাছের ঘেরের কাছে নির্জন স্থানে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য